৫৪ বছর পর জয়পুরহাটের জামালগঞ্জ কয়লা খনি প্রকল্প এলাকায় সিবিএম পদ্ধতিতে মিথেন গ্যাস উত্তোলনের কাজ শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রম সফল হলে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছেন জয়পুরহাটবাসী।
দেশের সবচেয়ে বড় কয়লা খনির সন্ধান পাওয়া যায় ১৯৬২ সালে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার জামালগঞ্জে। বিশেষজ্ঞের হিসেবে, এখানে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমির নিচে ১ হাজার ৯ শ’ ২০ ফুট থেকে শুরু করে ৩ হাজার ৪ শ’ ৭৪ফুট গভীর পর্যন্ত মজুদ রয়েছে ১১৫ কোটি মেট্রিক টন কয়লা। আর এই কয়লা খনির স্তরে স্তরে রয়েছে প্রচুর মিথেন গ্যাস। গ্যাস উত্তোলনে সফলতা আসলে এলাকার আর্থসামাজিক ও জীবন মানের উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছেন এলাকাবাসী।
তারা বলছেন, এই কয়লা খনির কাজে এলকার বেকার যুবকরা কাজ করতে পারবে। জয়পুরহাটে গ্যাস পৌছালে আশপাশের এলাকা আর জেলাগুলোতেও গ্যাস পৌছে যাবে।এলাকার সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন হবে।
সম্প্রতি কয়লা খনি প্রকল্প থেকে গ্যাস উত্তোলনের লক্ষ্যে কোর কুপ খননেন মাধ্যমে এর সঠিক পরিমান নির্ণয় এবং তা উত্তোলনযোগ্য কিনা তা যাচাইয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে পেট্রোবাংলা। এ প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যায় ধরা হয়েছে সাড়ে ২৩ কেটি টাকা।
প্রকল্পের কনসালটেন্ট প্রজেক্ট মনিটরিং কর্মকর্তা মর্তুজা আহমেদ ফারুক বলেন, এই খননের মাধ্যমে যে তথ্য উপাত্ত আসবে তার মধ্য দিয়ে আমরা জানতে পারব কয়লা স্তরের মধ্যে কি পরিমাণ গ্যাস আছে, এবং তা ভবিষ্যতে উত্তোলনযোগ্য হবে কিনা।
পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান সৈয়দ ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, এখানে আমরা সফল হলে অন্যান্য জায়গাগুলোতেও আমরা গভীর খনন প্রক্রিয়া চালবো।
জ্বালানি ও খনিজ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আগামী পাঁচ ছয়মাসের মধ্যেই আমরা রেজাল্ট পাবো। যদি সব ঠিক থাকে তবে এ এলাকার সম্পূর্ণ চিত্র পাল্টে যাবে।
এ কার্যক্রম সফল হলে জেলাবাসীর গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদা পুরণের পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলে নতুন শিল্প সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।