প্রথম বাঙালি মুসলিম নারী চিকিৎসক একুশে পদক পাওয়া বিশিষ্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডাক্তার জোহরা বেগম কাজীর দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। নারী শিক্ষা ও জাগরণে তার আদর্শ নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।
১৯১২ সালের ১৫ অক্টোবর অবিভক্ত ভারতের মধ্য প্রদেশের রাজনান গ্রামে জন্ম ডাক্তার জোহরা বেগম কাজীর। কুসংস্কারে আচ্ছন্ন তৎকালীন সমাজের প্রতিকূলতা জয় করে বাবা ডাক্তার কাজী আব্দুস সাত্তারের আদর্শে বড় হয়েছেন ডাক্তার জোহরা কাজী।
১৯৩৫ সালে দিল্লীর লেডি হাডিং মেডিক্যাল কলেজ থেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে এমবিবিএস পাস করেন তিনি। এ অর্জনের জন্য ব্রিটিশ সরকারের ভাইসরয় পদক লাভ করেন জোহরা কাজী।
মহাত্মা গান্ধির সেবা আশ্রমে কর্মময় জীবন শুরু করলেও দেশ বিভাগের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রসূতি ও ধাত্রীবিদ্যা বিভাগের প্রধান হিসেবে অধ্যাপনা শুরু করেন ডাক্তার জোহরা কাজী।
২০০২ সালে রোকেয়া পদক ও ২০০৮ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন ডাক্তার জোহরা কাজী। এতো সাফল্যের পরও তার মৃত্যুর ১০ বছর পার হলেও ডাক্তার জোহরা কাজীর কর্ম নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে তেমন কোন উদ্যোগ নেই। তবে তার স্মৃতি রক্ষায় কাজ করছে অধ্যাপক ডাক্তার জোহরা কাজী ফাউন্ডেশন।