পাপুয়া নিউ গিনির বুইমো কারাগার থেকে ব্যাপক সংখ্যক কয়েদি একসঙ্গে পালানোর সময় কারারক্ষীদের গুলিতে ১৭ জন নিহত হয়েছে।
এ ঘটনায় পালাতে চেষ্টা করা তিন কয়েদিকে আবার আটক করা সম্ভব হলেও পালিয়ে গেছে আরও ৫৭ জন। তাদের এখনো ধরা সম্ভব হয়নি বলে জানায় বিবিসি।
পলাতক কয়েদিদের কারও কারও বিচারকাজ এখনো শেষ হয়নি। তারা সবাই এলাকার নিরাপত্তার জন্য ব্যাপক হুমকিস্বরূপ উল্লেখ করে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে বলেছে কারাগার কর্তৃপক্ষ।
পাপুয়া নিউ গিনির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ল্যাইয়ে অবস্থিত এই জেলখানা থেকে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার জেল ভেঙ্গে কয়েদি পালানোর ঘটনা ঘটেছে। এবার পালানো কয়েদিদের বেশিরভাগই বিভিন্ন গুরুতর অপরাধের দায়ে গ্রেফতার হয়েছিল উল্লেখ করে পুলিশের চিফ সুপারিনটেন্ডেন্ট অ্যানথনি ওয়াগাম্বি স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোকে জানান, এদের বিরুদ্ধে বিচারকাজ চলছিল বলে এরা ওই কারাগারে আটক ছিল।
‘এদের অনেককেই মূলত সশস্ত্র ডাকাতি, গাড়ি চুরি, বাড়িঘর ও দোকানপাট ভেঙ্গে চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে গত বছর পুলিশ গ্রেফতার করেছিল,’ বলেন ওয়াগাম্বি, ‘পলাতকদের মাঝে সাজাপ্রাপ্ত আসামীও ছিল।’
ওয়াগাম্বি পলাতক কয়েদিদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা শিগগিরই ধরা পড়ে যাবে। তাই যেন এর আগেই তারা এলাকার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি, চার্চ প্রধান বা পরিবারের সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পন করে। এরপর তাদেরকে কারাগারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
পাপুয়া নিউ গিনির বেশিরভাগ কারাগারেই কয়েদির সংখ্যা ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি। কারাগারগুলোর অবস্থা যথেষ্ট খারাপ হলেও শুধু বিচারকাজে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে সাজা ঘোষণার আগেই সেখানে কয়েদিদের লম্বা সময় কাটাতে হয়।
২০১৬ সালে দেশটির বিভিন্ন কারাগার থেকে ৭০ জন কয়েদি পালিয়ে যায়। পালানোর সময় নিহত হয় কমপক্ষে ১১ জন। তার আগের বছরও একইভাবে জেল পালায় অর্ধশতাধিক কয়েদি।