চিকিৎসকদের পরামর্শে জেল কোড অনুযায়ী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হবে, এতে সরকার কোন হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন: ‘বেগম জিয়া আদালতের দণ্ডপ্রাপ্ত। তার মুক্তির ব্যাপারে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে, এতে সরকারের কিছুই করার নেই।’
নোয়াখালীতে মায়ের চেহলাম ও মিলাদ মহফিল শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে শনিবার সকালে কারাগার থেকে প্রথমে খালেদা জিয়াকে নেয়া হয় পাঁচ তলার কেবিন ব্লকের ৫১২ নম্বর কেবিনে। এ সময় তিনি হেঁটেই লিফটে উঠেন।
সেখানে প্রথমে তার রক্ত পরীক্ষা করানো হয়। এরপর এক্সরে করানোর জন্য নীচ তলার দক্ষিণ পাশের বিল্ডিংয়ে নেয়া হয় খালেদাকে। এসময় তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মামুনকে সাক্ষাতের অনুমতি দেয়া হয়।
এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে পুনরায় কারাগারে নেয়া হয় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় গঠিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশের পর তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে আনার খবরে রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
তাকে হাসপাতালে আনার সময় শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ করে বিএনপি ও ছাত্রদলের কিছুকর্মী। পরে পুলিশের ধাওয়ায় তারা পালিয়ে যায়। এ সময় অন্তত চারজন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
এই রায়ের পরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।
বিচারিক আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল ও জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। আদালত তাকে চার মাসের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন দিলেও অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোয় তিনি মুক্তি পাননি।