আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষের ১৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আর্টিকেল নাইনটিন ‘জেন্ডার সহিংসতা প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা এবং নারীর প্রতি পদ্ধতিগত সহিংসতা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সাংবাদিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও অধিকারকর্মীরা এতে অংশ নেন। আর্টিকেল নাইনটিন বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সলের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ এশীয় নারীবাদী অধিকারকর্মীদের নেটওয়ার্ক ’সাংগাতের’ কোর গ্রুপ মেম্বার ফওজিয়া খোন্দকার ইভা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. স্নিগ্দ্ধা রেজওয়ানা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অধিকারকর্মী অপরাজিতা সংগীতা।
সাংগাতের কোর গ্রুপ মেম্বার ফওজিয়া খোন্দকার ইভা বলেন, ‘পুরুষতন্ত্র নারীর শত্রু, পুরুষ নন। পুরুষতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণার কারণে দারিদ্র, সহিংসতা এবং মহামারির প্রথম শিকার হয় নারী ও মেয়ে শিশু। এই ধারা ভেঙে দিতে সবাইকে-বিশেষত গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে।’
গণমাধ্যমে জেন্ডার সহিংসতার ঘটনা বর্ণনায় সংবেদনশীলতা ও নীতি-নৈতিকতা চর্চার আহ্বান জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক স্নিগ্ধা রেজওয়ানা বলেন, ’ধর্ষণের ঘটনা বর্ণনায় সুড়সুড়িমূলক শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে সারভাইভারকেই মানসিক ও সামাজিকভাবে পর্যুদস্ত করা হয় ‘
চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অধিকারকর্মী অপরাজিতা সংগীতা বলেন, ‘নাটক-সিনেমায় ট্রান্সজেন্ডার চরিত্রকে খুবই আপত্তিকর ও নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়।’ তিনি নাটক-সিনেমা এবং বিজ্ঞাপন নির্মাতাদের জেন্ডার বৈচিত্র্যের প্রতি আরও সংবেদনশীল হওয়ার আহ্বান জানান।
আর্টিকেল নাইনটিনের আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, ‘জেন্ডার সহিংসতার ঘটনা রিপোর্টিংয়ে গণমাধ্যমকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। এজন্য রিপোর্টিংয়ের সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিকদের জেন্ডার সংবেদনশীল ভাষার ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণও প্রয়োজন।’
এবছর সরকারিভাবে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষের ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর প্রতিপাদ্য করা হয়েছে– ‘নারী নির্যাতন বন্ধ করি; কমলা রঙের বিশ্ব করি।