১৩ বছর পর ২৪ মে ৫৪ ধারা নিয়ে হাইকোর্টের আপিল বিভাগ যে রায় দিয়েছে তা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জনগণের পক্ষে একটি বিশাল বিজয়। প্রায় একযুগ পর বুধবার আলোচিত ৫৪ ধারা ও ১৬৭ ধারা বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সরকারের করা আপিলের রায় দিলেন সর্বোচ্চ আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল বাতিল করে দিয়ে আদালত বলেছেন, এই মামলায় পূর্ণাঙ্গ রায়ে হাইকোর্টের কিছু নির্দেশনা পরিবর্তন বা সংশোধন করে দেয়া হবে।
হাইকোর্টের রায়ে এর আগে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিলো। জেনে নিন সেইসব নির্দেশনা:
ক. পুলিশ কাউকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করতে পারবে না।
খ. গ্রেফতারের সময় পুলিশ তার পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য থাকবে।
গ. গ্রেফতারের তিন ঘণ্টার মধ্যে আটককৃতকে গ্রেফতারের কারণ জানাতে হবে।
ঘ. বাসা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বাইরে গ্রেফতার করলে নিকট আত্মীয়কে এক ঘণ্টার মধ্যে জানাতে হবে।
ঙ. পছন্দ অনুযায়ী আইনজীবী ও আত্মীয়দের সঙ্গে পরামর্শ করতে দিতে হবে।
চ. রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগারের ভেতরে কাঁচের তৈরি বিশেষ কক্ষে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। ওই কক্ষের বাইরে তার আইনজীবী ও নিকট আত্মীয় থাকতে পারবেন।
ছ. জিজ্ঞাসাবাদের আগে ও পরে ওই ব্যক্তির ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে হবে।
ট. পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে সঙ্গে মেডিকেল বোর্ড গঠন করবে। বোর্ড যদি বলে ওই ব্যক্তির ওপর নির্যাতন করা হয়েছে তাহলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবস্থা নেবেন এবং তাকে দণ্ডবিধির ৩৩০ ধারায় অভিযুক্ত করা হবে।
এসব নির্দেশনা ছয় মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছিল হাইকোর্টের সেই রায়ে।