বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সহধর্মীনি বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে।
বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কনস্যুলেটের কনফারেন্স হলে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এ উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক এবং কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জীবন ও কর্মের উপর আলোকপাত করেন ।
কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের সার্বক্ষণিক সঙ্গী। জাতির পিতা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পত্নী হয়েও একজন নির্লোভ নিরহংকার এবং সাদামাটা জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন এই মহীয়সী নারী ।বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে একজন বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে অসীম ধৈর্য বুদ্ধিমত্তা ও বিচক্ষণতার সাথে তিনি সকল পরিস্থিতিতে মোকাবেলা করেন এবং শক্তি ও সাহস যোগান বঙ্গবন্ধুকে।
বঙ্গবন্ধুর সমস্ত জীবন জুড়ে তিনি ছায়ার মতো অবস্থান করে অসামান্য ভূমিকা পালন করেন বলে কনসাল জেনারেল মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, সংকটে সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী বঙ্গমাতা ছয় দফা, ১১ দফা আন্দোলনসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং তৎপরবর্তী দেশ ও জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রাখেন ।মুক্তিসংগ্রামে হানাদার বাহিনীর হাতে নিজে গৃহবন্দী থেকে এবং পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি স্বামীর জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবিচল থেকে সকল পরিস্থিতিতে মোকাবেলা করেন। পরিবার-পরিজন ও সন্তানদের দেখভালের পাশাপাশি দলের সাংগঠনিক কাজে পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান, স্বামীর মুক্তির জন্য মামলা পরিচালনা, যুদ্ধপরবর্তী সময়ে নির্যাতিত মা-বোনদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে তাদেরকে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ তিনি গ্রহণ করেন।
কনসাল জেনারেল আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সামাজিক-অর্থনৈতিক শিল্প সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত ভিশন ২০৪১ ও ডেল্টা পরিকল্পনা ২১০০ এর লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হবে।
তিনি প্রবাসীসহ সবাইকে বাংলাদেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জীবন ও কর্মের উপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সৌদি সরকারের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আরোপিত স্বাস্থ্য বিধিনিষেধ অনুসরণ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সোনালী ব্যাংক প্রতিনিধি, জেদ্দা বাংলাদেশ হজ মিশনের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।