রাজধানীর গোপীবাগে কথিত পীর ও ইমাম মেহেদীর প্রধান সেনাপতি দাবিদার লুৎফর রহমানসহ ৬ জনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) জড়িত ছিলো বলে নিশ্চিত হয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির রিমান্ডে থাকা জেএমবির কথিত ‘অপারেশনাল চিফ’ আবদুল গাফফার পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধারণা দিয়েছে, লুৎফর রহমানসহ ৬ জনের হত্যার ঘটনায় সে সরাসরি জড়িত না থাকলেও ঘটনার বিষয়ে আগেই জানতো।
পুলিশ জানতে পেরেছে, জেএমবির ভয়ে ওই পীর ঘন ঘন তার আস্তানা পরিবর্তন করতেন। এর পেছনের কারণ খুঁজতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে; অাস্তানা বদলের সঙ্গে সঙ্গেই তার বিরুদ্ধে স্থানীয়দের খেপিয়ে তুলতো একটি মহল। ওই মহলকে পেছন থেকে সহায়তা করতো জেএমবির একটি অংশ।
গাফফার গোয়েন্দাদের জানায়, হত্যার কিছুদিন আগে জেএমবির ৪ জন সদস্য মুরিদ সেজে ওই পীরের আস্তানায় আসা-যাওয়া শুরু করে। এরপর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
গোয়েন্দা পুলিশের পূর্ব বিভাগের ডিসি মাহবুব হাসান চ্যানেল অাই অনলাইনকে বলেন, পীর লুৎফর রহমানসহ ৬ জনকে হত্যার ঘটনায় জেএমবি নেতা গাফফারের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে তারা অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছে।
এর অাগে শুক্রবার গোপীবাগের ছয় খুনের মামলায় সন্দেহভাজন জেএমবি সদস্য আবদুল গাফফারকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
২০১৩ সালের ২১ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মিশন রোডের ৬৪/৬ নম্বর চারতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলার বাসায় মুরিদ সেজে ঢুকে কথিত পীর লুৎফর রহমান ফারুক, তার ছেলে সারোয়ার ইসলাম ফারুক ওরফে মনির, খাদেম- মঞ্জুর আলম মঞ্জু, মুরিদ- শাহিন, রাসেল ও মুজিবুল সরকারকে জবাই করে দুর্বৃত্তরা।
ঘটনার পরদিন নিহত লুৎফর রহমানের ছোট ছেলে আবদুল্লাহ আল ফারুক অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামি করে ওয়ারি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।