নিখোঁজের তিনদিন পর যমুনা নদী থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে টাঙ্গাইল ও জামালপুর জেলা পুলিশ। নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, জুয়া বন্ধ ও ন্যায় বিচারের দাবি তাদের।
জামালপুরের সরিষাবাড়ি ও টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর থানা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জামালপুরের পিংনার বাশুরিয়ার যমুনা চরে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিলো জুয়ার আসর। গেল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় জুয়ার বোর্ড পরিচালনাকারী মান্নান, লিটন ও খোকনসহ বেশ কয়েকজন। নিখোঁজ হোন ফজল, হাফিজুর ও ছানোয়ার নামের তিন জন।
পরে নিখোঁজের তিনদিন পর আজ রবিবার দুপুরে যমুনা নদীর টাঙ্গাইল অংশের বাসুদেবকূল থেকে গোপালপুরের হাফিজুর ও বিকালের জামালপুরের বাসুরিয়া থেকে ভূঞাপুরের ফজল এবং সরিষাবাড়ির ছানোয়ারের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতদের পরিবারের দাবি প্রতিপক্ষ গ্রুপ পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তাদের। দীর্ঘদিন ধরে চলা সংঘবদ্ধ জুয়ার আসর বন্ধের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা জামালপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহ শিবলী সাদী।
জামালপুরের সরিষাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুল করিম জানান, সরিষাবাড়ির সীমান্তবর্তি এলাকার যমুনা নদী থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভুঞাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই ) লিটন মিয়া জানান, বাসুদেবকোল এলাকার যমুনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিখোঁজের পর থেকেই জামালপুর পুলিশের সহযোগীতা না পাওয়ার অভিযোগ নিহতের পরিবারের।