জুলহাস মান্নান হত্যাকাণ্ড তদন্তে ‘পূর্ণ’ সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে একটি গণমাধ্যম বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে এমন নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডে দু:খ প্রকাশ করে জন কেরি জুলহাসের পরিবার ও প্রিয়জনদের উদ্দেশ্যে শোক জ্ঞাপন করেন।
বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জন কেরি আরো জানান, আন্তর্জাতিক উন্নয়নের জন্য জুলহাস ইউনাইটেড স্টেট এজেন্সিতে কাজ শুরু করে। মানবাধিকার আর বাংলাদেশের সম্মান নিয়ে কাজ করতো সে। নানানভাবে সে বাংলাদেশীদের কর্মদক্ষতা এবং তারা কিভাবে ধৈর্য, শান্তি ও বৈচিত্রময়ভাবে নিজেদের ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে তা প্রকাশ করতো।
এরপর জন কেরি আহ্বান জানান, এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এবং অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে পূর্ণ সহায়তা দিতে চাই। জুলহাসের কাছে যেসব মূল্যবোধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো আমরাও সেগুলোর কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্থিতিশীলতা ও মানবাধিকারের জন্য আমরা বাংলাদেশে এবং সারা বিশ্বে কাজ করতে চাই।
জন কেরি টুইটারেও ওই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে টুইট করেছেন।
আরেক পৃথক বিবৃতিতে ইউএস সিনেট ফরেন রিলেশন কমিটির ডেমোক্র্যাট সে. বেন কার্ডিন এই হামলাকে দু:খজনক উল্লেখ করে বলেছেন, বাংলাদেশের সমাজে সন্ত্রাসবাদের যে শেকড় গজিয়েছে, তা মূল নির্ণয় করে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে।
কার্ডিন আরও বলেন, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের উচিত উচ্চস্বরে এবং পরিস্কারভাবে অপরাধীদের বুঝিয়ে দেওয়া যে, অপরাধ যার বিরুদ্ধেই হোক, তারা যে কাজই করুক, যাকেই ভালোবাসুক, যে ঈশ্বরেরই প্রার্থণা করুক, তাদের কারোরই আধুনিক সমাজে জায়গা হবে না।
রাজধানীর কলাবাগানে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনার প্রটোকল অফিসার ও ইউএসএইড-এর কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।