চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

জুম্মান সিদ্দিকী: হাইকোর্টের রায় স্থগিতই থাকবে, মিলেছে আপিলের অনুমতি

ল’গ্র্যাজুয়েট ও নিউজিল্যান্ড হাইকোর্টের প্র্যাকটিশনার জুম্মান সিদ্দিকীকে আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষা ছাড়াই সরাসরি হাইকোর্টে আইনপেশা পরিচালনার সুযোগ দেয়া গেজেটের বৈধতা দিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রিটকারিদের আপিল করার অনুমতি দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

আগামী ৬ ডিসেম্বর আপিল শুনানির দিন ধার্য করে এই সময়ের মধ্যে উভয় পক্ষকে সারসংক্ষেপ দাখিল করতে বলা হয়েছে। আর আপিল শুনানি পরবর্তী আদেশের আগ পর্যন্ত হাইকোর্টের দেয়া রায়টি স্থগিতই থাকবে বলে জানিয়েছেন রিটকারি আইনজীবী।

রোববার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল গ্রহণ করে এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক। আর জুম্মান সিদ্দিকীর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও ব্যারিস্টার তানিয়া আমির।

এর আগে হাইকোর্টের বিচারপতির ছেলে ব্যারিস্টার জুম্মান সিদ্দিকীকে হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে পেশা পরিচালনার অনুমতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। আলোচিত সে গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। তবে সে রিটটি শুনতে একে একে হাইকোর্টের চারটি বেঞ্চ অপরাগতা প্রকাশ করেন।

পরবর্তীতে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটির শুনানি নিয়ে ব্যারিস্টার জুম্মান সিদ্দিকীকে হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে পেশা পরিচালনার গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। কিন্তু হাইকোর্টের এই বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি তারিক উল হাকিম আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলে জুম্মন সিদ্দিকীর বিষয়ে জারি করা রুলটি বিচারপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মাদ উল্লাহের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুলটি খারিজ করে রায় দেন। এই রায়ের ফলে ব্যারিস্টার জুম্মান সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে পেশা পরিচালনার সুযোগ দিয়ে বার কাউন্সিলের গেজেট বৈধতা পায়। সেই সাথে হাইকোর্ট রিটকারি আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও ইশরাত হাসানকে ১০০ টাকা করে জরিমানা  করেন। সুপ্রিম কোর্টের এই দুই আইনজীবীকে জরিমানা করার প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্টের অনেক আইনজীবী ওই জরিমানার টাকা সংগ্রহে ১ টাকা করে তুলে প্রতীকী প্রতিবাদ জানান।

পরবর্তীতে রিটকারি আইনজীবীরা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন নিয়ে গেলে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন। সেই সঙ্গে রিটকারি দুই আইনজীবীকে ১০০ টাকা করে করা জরিমানাও স্থগিত করা হয়।