জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত অর্থ বছর নির্ধারণের কারণে দুর্নীতির মাত্রা বৃদ্ধি পায় বলে মন্তব্য করে ‘জুলাই-জুন’ অর্থ বছর পরিবর্তনের দাবি করেছেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
রোববার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের আয়োজনে ‘জাতীয় বাজেট: ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং সমসাময়িক বিশ্লেষণ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ‘জুলাই-জুন’ অর্থ বছর পরিবর্তনের দাবি করে বলেন, ‘বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বিগত অর্থ বছরে বাজেটে বরাদ্দকৃত বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা ব্যয় করার জন্য জুন-জুলাই মাসে প্রয়োজনের মাত্রারিক্ত অর্থ ব্যয় করে বরাদ্দকৃত অর্থ খরচ দেখাতে উদ্যোগী হয়ে উঠেন। এর ফলে দুর্নীতির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থ বছর এপ্রিল মাসে শুরু হয়েছিলো। এখন সময় হয়েছে অর্থ বছর পরিবর্তনের।’
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আমির হোসেন বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বাজেট প্রশংসনীয় এবং বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বাজেটে জনস্বার্থ রক্ষিত হয়নি বলে মন্তব্য করা হয়। ঋণ খেলাপীদের কাছ থেকে ঋণের টাকা আদায় করা সম্ভব হলে নানাবিধ উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন করা সহজ হয়।’
অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরমিন্দ নীলোর্মি বলেন, ‘আমাদের মোট বাজেটের অনুপাতের চেয়ে বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটের অনুপাত দিন দিন কমছে। শুরুর দিকে আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন বাজেট (এডিপি) ছিল ৬৪ শতাংশ। কিন্তু বর্তমানে তা এসে দাঁড়িয়েছে ২৫ শতাংশে।’
সেমিনারে বিভিন্ন বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরমিন্দ নীলোর্মি, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আকতার মাহমুদ, অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র মো. মনির হোসেন, রফিকুল ইসলাম, ইশতিয়াক রায়হান ও জায়েদ বিন সাত্তার।