জুডিশিয়াল ক্যু’তে ব্যর্থ হয়ে যুক্তফ্রন্ট নতুন ষড়যন্ত্রে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন: বাংলাদেশে জুডিশিয়াল ক্যু করার চেষ্টা করা হয়েছিল। একজন বিশিষ্ট আইনজীবী একজন সাবেক বিচারপতিকে ব্যবহার করে জুডিশিয়াল ক্যু করে পাকিস্তানের মতো অবস্থা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। পাকিস্তানে আজকে যে অবস্থা ঠিক একই অবস্থা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল বাংলাদেশে। শেখ হাসিনা ও চৌদ্দ দলের দৃঢ়তায় সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়ে যায়। তাই এখন আবার একই নতুন চক্রান্ত করে নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে তারা।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন: যখনই নির্বাচন আসে, ভোটের মাধ্যমে জনগণের রায়ের সময় আসে, তখনই মুখচেনা মহল তত্পর হয়ে ওঠে। ২০১৪ সালে নির্বাচনের সময় এই অশুভ মহলটি জ্বালাও-পোড়াও করেছে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে। ঠিক আবার যখন নির্বাচন আসল তখন আবার সেই মুখচেনা মহল তত্পর হয়ে উঠেছে।
বর্তমান সরকারকে হটানোর বিষয়ে বিএনপি মহাসচিবের শপথের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন: কোন দল বা গোষ্ঠি নয়, জনগণই একমাত্র সরকারকে হটানোর ক্ষমতা রাখে। তাই মির্জা ফখরুল ইসলামের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।
তথ্য প্রযুক্তির সময়ে নির্বাচনে কোনো কারচুপির সুযোগ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন: নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিক নিয়মে উত্সাহ উদ্দীপনা নিয়ে দেশের জনগন অপেক্ষা করছে। নির্বাচন যথাসময়ে হবে।
সংবিধানের বাইরে নির্বাচন হতে পারে বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন: বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। সংবিধানের বাইরে কোনো কাজ বাংলাদেশে হবে না। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন হবে । আমরা আন্তরিকভাবে চাই নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করুক।
বিএনপির সমাবেশ করার অনুমতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ প্রশাসনের সিদ্ধান্ত। বিএনপিকে অনুমতি দিলে দোষ, না দিলেও দোষ ।
১৪ দল সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মাঠে নামবে জানিয়ে তিনি বলেন: একাত্তরের ঘাতকদের নির্বাচনে পরাজিত করার মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয়ের জন্য কাজ করবে ১৪দল। তাই এই মুখচেনা মহল যে চক্রান্ত করছে সেই বিষয়ে ১৪ দলকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান তিনি।