অসংখ্য প্রতিযোগিকে পেছনে ফেলে ফেয়ার এ্যান্ড লাভলী মেন-চ্যানেল আই হিরো পাওয়ার্ড বাই বাংলাদেশ আর্মি’ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন সাভারের বাঁধন কুমার সাহা। চ্যানেল আই অনলাইনে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বাঁধন জানালেন তার সামনে এগিয়ে যাওয়ার কথা এবং চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতি।
চ্যানেল আই অনলাইন: জীবনের প্রথম উপার্জন কেমন লাগছে?
বাঁধন: অবশ্যই অসাধারণ একটি মুহূর্ত। বাচ্চাদের পড়িয়ে এর আগে উপার্জন করেছি, কিন্তু জীবনে প্রথমবার ক্যামেরার সামনে কথা বলে উপার্জন করলাম। আসলেই অন্যরকম অনুভূতি।
চ্যানেল আই অনলাইন: গতকাল যখন আপনার নাম জানালো হলো তখনকার অনুভূতি কেমন ছিলো?
বাঁধন: প্রথমে আমি আশা করতে পারিনি আমি হব। কিন্তু মনের ভেতরে একটু সাহস ছিল। সবগুলো এপিসোড আমার ভালো ছিলো। কোনো এপিসোড আমার খারাপ যায়নি। তাই আশাও করছিলাম। কারণ প্রতিটি পর্বে বাদ না পড়েই ভালোভাবে অতিক্রম করে এসেছি। তাই মনের ভিতর পজেটিভ অনেক কিছুই চলত। এখন হয়ে যাবার পরও আমি মনে করি, তেমন কিছুই অর্জন করতে পারিনি। বড় একটি পথ সামনে পারি দিতে হবে।
চ্যানেল আই অনলাইন: বড় এই পথটি পারি দেওয়ার জন্য কোনো পরিকল্পনা আছে?
বাঁধন: এই প্রতিযোগিতায় আসার পর থেকেই আমার একটি পরিকল্পনা ছিলো এখান থেকে বের হয়েই অভিনয় স্কুলে ভর্তি হবো। মিডিয়ার সব সেক্টরের জন্য নিজেকে গ্রুম করবো। নাচ, ফাইট, অভিনয়, কিভাবে কথা বলতে হবে সবকিছুতেই নিজেকে আরো বেশি দক্ষ করে তুলবো।
চ্যানেল আই অনলাইন: হিরো হওয়ার পর পরই ছবির অফার নায়িকা হিসেবে মাহিয়া মাহি কেমন ছিলো ওই মুহূর্তটি?
বাঁধন: ইন্ডাস্ট্রির সবাইকে আমি শ্রদ্ধা করি, কিন্তু সবচেয়ে বড় ব্যাপারটা হলো আমার জীবনের প্রথম ছবি হুমায়ূন আহমেদ স্যারের গল্প অবলম্বনে। সত্যিই আমি খুব ভাগ্যবান। অন্যদিকে হালের ক্রেজ মাহিয়া মাহির সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে ছিল বহুদিনের, আজ সেই ড্রিমটি পূরণ হয়ে গেলো।
চ্যানেল আই অনলাইন: ফেয়ার এন্ড লাভলী ম্যান চ্যানেল আই হিরো’র পুরো জার্নিটা কেমন ছিলো?
বাঁধন: হিরো হবো এমন কোনো আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমি জার্নিটা শুরু করিনি। কিন্তু গ্রুমিং’র সময় বন্ধু থেকে করে বিচারকরা অনেক সাপোর্ট দিয়েছে। একটি কথাই সবাই বলতো, তুমি পারবা তোমার মধ্যে সেই জিনিসটা আছে শুধু নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
আর বিশেষ করে আর্মির রাউন্ডের কথা বলতে চাই। একসময় খুব স্বপ্ন ছিলো আর্মিতে যোগ দিবো।পরে মিডিয়ায় কাজ করার খুব স্বপ্ন তৈরি হলো কিন্তু কোনো সুযোগ পচ্ছিলাম না। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই ইউনিলিভার, চ্যানেল আই ও বাংলাদেশ আর্মিকে। তাদের এতো সুন্দর প্ল্যাটফর্মে আমাকে জায়গা দিয়েছে এবং মিডিয়াতে কাজ করার সুযোগটি করে দিয়েছে।
চ্যানেল আই অনলাইন:সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ
বাঁধন: চ্যানেল আই ও চ্যানেল আইয়ের সমস্ত বন্ধুদের জানাই ধন্যবাদ।