ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়ার পর সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলে থাকা সেই ফেলানীর পরিবারকে ৫ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
আগামী ৬ অক্টোবর ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ফেলানী হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা রিটের শুনানি শুরুর আগে এই ক্ষতিপূরণের নির্দেশ এসেছে।
আইন সালিশ কেন্দ্র ও মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের সহযোগিতায় ১৪ আগষ্ট ভারতের সুপ্রিম কোর্টে রিট আবেদন করেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম।
ফেলানীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্র্যাহাম লিংকন বলেন, মানবাধিকার কমিশন সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ফেলানীর পরিবার যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সেজন্য ফেলানীর পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কেন্দ্রিয় সরকারকে এইজন্য তিনদিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে যেন বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে এই টাকা হস্তান্তর করা হয়। এর মাধ্যমে নায্য বিচারের পথ একধাপ এগিয়ে গেলো। এর মাধ্যমে ভারত হত্যার দায় স্বীকার করলো। যে রিটটি বিচারাধীন আছে সেক্ষেত্রে এমন সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হয়েই আসবে। তবে ফেলানীর বাবা ক্ষতিপূরণ না, চান খুনীর সাজা।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হয় ফেলানী। পরে কাঁটাতারের বেড়ায় ফেলানীর ঝুলন্ত লাশের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে।