জি-টুয়েন্টি সম্মেলনের প্রথম দিনে আলোচনার তুঙ্গে ছিলো ট্রাম্প ও পুতিনের প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ। ট্রাম্পের কাছে মার্কিন নির্বাচনে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার কিংবা কারচুপিতে ভূমিকা রাখার কথা অস্বীকার করেছেন ভ্লাদিমি পুতিন। সম্মেলনের বাইরে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহৎ বিশ্ব অর্থনীতিগুলোর সম্মেলন জি-টুয়েন্টিকেও ছাড়িয়ে আলোচনায় ট্রাম্প-পুতিনের প্রথম সাক্ষাৎ। হাস্যোজ্জ্বল অভিবাদন আর সর্বময় স্বতঃস্ফূর্ততাই বলে দিচ্ছিল- যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া বললেই অতীতের যে তিক্ততা ভাবনায় আসে; এই দু’জনের মধ্যে তার লেশমাত্র নেই। এমনকি এক পর্যায়ে আঙ্গুল দিয়ে সাংবাদিকদের দিকে ইঙ্গিত করেন পুতিন, গণমাধ্যমের সাথে ট্রাম্পের তিক্ত সম্পর্ক নিয়ে রসিকতা করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন জানিয়েছেন, কথার প্রসঙ্গ খুঁজে পেতে ট্রাম্প ও পুতিনকে বেগ পেতে হয়নি। মার্কিন নির্বাচনে ক্রেমলিনের হস্তক্ষেপের অভিযোগও আলোচনায় উঠে আসে। পুতিন ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট বানানোর ক্ষেত্রে রাশিয়ার কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উড়িয়ে দেন। উল্টো বলেন, যারা এমনটা বলছে তারা পারলে প্রমাণ দিয়ে দেখাক।
নর্থ কোরিয়া ইস্যুতে চীনের কাছে নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। দেশটির উপর আরও চাপ প্রয়োগে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং-কে আহ্বান জানান তিনি।
জি-টুয়েন্টির প্রথম দিনে সম্মেলনের চেয়ে বেশি উত্তাপ ছড়িয়েছে সম্মেলনের বাইরে চলা বিক্ষোভ। দিনভর পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের তুমুল সংঘর্ষ হয়। আহত হয় শতাধিক পুলিশ সদস্য। সম্মেলনস্থলের আশেপাশের দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করা হয়। কমপক্ষে ২০টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৫ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করেছে জার্মান সরকার।