বিএনপির কাছ থেকে প্রশংসা আর কাদের সিদ্দিকীর কাছ থেকে সমালোচনার পরে জিয়াউর রহমান ইস্যুতে আপাততঃ কথা না বলার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এবং সাম্যবাদী দলের আলাদা সংলাপের মধ্যবর্তী সময়ে সিইসির কাছে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন না, পরে কথা বলব’।
এর আগে সিইসির সঙ্গে অাড়াই ঘণ্টা ধরে বৈঠকের পরে কাদের সিদ্দিকী বলেন: আমরা সংলাপ বয়কট করেছি। যতক্ষণ তিনি বক্তব্য প্রত্যাহার না করবেন, ততক্ষণ আমরা তার পদত্যাগ চাইবো।
‘তিনি এই পদের জন্য উপযুক্ত নন, বলেই আমরা তার পদত্যাগ চাইছি। নির্বাচনের মতো একটি কঠিন কাজ তাকে দিয়ে হবে না,’ বলে দাবি করেন তিনি।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পর পর সংলাপে যোগ দেয় সাম্যবাদী দল। মধ্যবর্তী সময়ে সিইসির কাছে তার বক্তব্য এবং কাদের সিদ্দিকীর প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে নুরুল হুদা এখন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
কাদের সিদ্দিকী সমালোচনা করলেও স্বাভাবিক কারণেই সিইসির বক্তব্যের প্রশংসা করেছে বিএনপি।
বিএনপির অন্যতম সহসভাপতি শামসুজ্জামান দুদু চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: ‘সিইসি সত্যটা স্বীকার করেছেন। তাই আপাতত আমরা এটাকে ফাঁদ মনে করছি না।’
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের চলমান সংলাপে রোববার বিএনপির সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠকে জিয়াউর রহমানকে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে সিইসি বলেছিলেন: ব্যক্তি হিসেবে এবং দলনেতা হিসেবে জিয়াউর রহমান চার বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। তার হাত দিয়েই দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠা লাভ করে।
সংলাপের সূচনা বক্তব্যে বিএনপিকে ‘সফল রাষ্ট্রপরিচালনার সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা থাকা একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল’ হিসেবে বর্ণনা করে দলটির প্রশংসায় তিনি বলেছিলেন: বিএনপি সরকার দেশে বহুবিধ উন্নয়ন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা, আলাদা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠা, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের অবৈতনিক শিক্ষা, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যটালিয়ান গঠন, দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠা, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয় প্রতিষ্ঠা, আইন কমিশন গঠন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছরে উন্নীতকরণ।