জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামালের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে বিচারিক আদালতের রায়ে তাকে দেওয়া অর্থদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি ও কামালের আপিল শুনানি একই সঙ্গে হবে বলে আদেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর আসামি পক্ষে ছিলেন শাহ মনজুরুল হক।
বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার হাইকোর্টে আপিল করেন কাজী সালিমুল হক কামাল।
এই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামী হচ্ছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার বিএনপির সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান এই মামলার রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। আর তার ছেলে তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। সেই সাথে খালেদা তারেকসহ সবাইকে মোট ২ কোটি ১০ লক্ষ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা জরিমানা করা হয়।
বিচারিক আদালতের দেয়া এই রায়ের পর খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।
পরবর্তীতে বিচারিক আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল এবং জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদার আপিল গ্রহণ করেন এবং এই মামলার নথি বিচারিক আদালত থেকে হাইকোর্টে আসার পর জামিন বিষয়ে আদেশ দেবেন বলে ঘোষণা করেন।