চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

জিয়ার আমলের সামরিক আদালতে দণ্ডের ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বিমান বাহিনীর এক বিদ্রোহের ঘটনায় সামরিক আদালতের দেওয়া দণ্ডের ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে।

আজ সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটিটির নাম্বার ( ৪৯২১/১৯) পড়েছে। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে জানান রিটের পক্ষের আইনজীবী মতিউর রহমান।

সামরিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ও চাকরিচ্যুত সেনা ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের সন্তানসহ ৮৮ জন হাইকোর্টে এ রিটটি করেন।

এ রিট আবেদনে ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর সামরিক আদালতে দণ্ডিতদের চাকরির স্বাভাবিক অবসর গ্রহণ পর্যন্ত বেতন, অন্য সব সুবিধা, পেনশন দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিমান বাহিনীর প্রধানকে রিটে বিবাদি করা হয়েছে।

আইনজীবী মতিউর রহমান আরো জানান: জেনারেল জিয়াউর রহমানের ‘মার্শাল ল ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৭’ এর অধীনে সামরিক আদালতে অবৈধ দণ্ড এবং সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সেই অবৈধ দণ্ডাদেশের সময় থেকে চাকরির স্বাভাবিক অবসরের সময় পর্যন্ত পদ-পদবী অনুযায়ী তাদের চাকরির সমস্ত বকেয়া বেতন ও অন্যান্য সকল সুবিধাসহ পেনশন না দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের যোগ্যতা অনুযায়ী কেন সরকারি চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, রিটে এ মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ‘ওই সামরিক আদালতের বিচারে বেআইনিভাবে যাদের সাজা দেওয়া হয়েছিল, তাদের যেন এই সাজা থেকে মাফ করে দেওয়া হয় এবং যারা মারা গেছেন তাদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পোষ্যদের যাতে সরকারি চাকরিতে অ্যাকোমোডেট করা হয় সে বিষয়টি রিটে চাওয়া হয়েছে’।

এ রিটে যুক্ত করা পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়: ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ভোররাতে বিমানবাহিনীতে সংঘটিত বিদ্রোহ কঠোরভাবে দমন করা হয়েছিল। তখন সামরিক আদালতে ফাঁসি দেওয়া হয় ১১ জন অফিসারসহ এক হাজার ৪৫০ জন বিমান সেনাকে। বরখাস্ত ও চাকরিচ্যুত হন আরও চার হাজার জন। নিখোঁজ হন অসংখ্য।