মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর শাস্তি দাবি করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেছেন,” বাংলাদেশের মাটিতে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর শাস্তি আমরা দেখতে চাই৷”
রবিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে যুক্তরাজ্যে বিএনপি জামাত কর্তৃক জাতির পিতার ছবি অবমাননা এবং বাংলাদেশে দূতাবাসে হামলাকারীদেন বিচার ও সাজা প্রাপ্ত তারেক রহমানকে অবিলম্বে ফিরিয়ে এনে কারাগারে প্রেরণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন ৷
ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, “এতিম ও সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাৎকারীদের বিচার বাংলাদেশে এভাবে হয়৷ আমরা এক বছর আগে বলেছিলাম যে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যেমন হয়েছে, তেমনিভাবে এক সময় খালেদার বিচারও বাংলাদেশের মাটিতে হবে৷ খালেদা জিয়ার ফাঁসির দাবিতে ১৬ কোটি মানুষ একদিন মাঠে নামবে৷ এখন আমাদের দাবি খালেদার কুপুত্র তারেক জিয়াকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে৷ কারণ সে বিদেশে বসে আমাদের জাতির পিতার ছবিকে অবমাননা করেছে৷ বঙ্গবন্ধুর ছবি অবমাননা, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের অবমাননা করার সামিল৷ তাই তারেক জিয়াকে এবং তার নেতৃত্বে যারা বঙ্গবন্ধুর ছবিকে অবমাননা করেছে, একই সাথে বাংলাদেশের হাইকমিশনারে যারা হামলা চালিয়েছে তাদের অতি দ্রুত দেশে এনে কারাগারে প্রেরণ করতে হবে৷ কারণ আপনারা জানেন চীনের দুঃখ হলো হোয়াংহো নদী, আমাদের দুঃখ হলো খালেদা জিয়া ও তার পরিবার৷ তবে আমাদের দুঃখ কিছুটা হলেও মোচন করতে পেরেছি৷”
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, “এখন ঘরে বসে থাকার সময় নেই, বাংলাদেশে প্রতিটি জায়গার ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে পাহারা দিতে হবে৷”
এ সময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, “বঙ্গবন্ধুর সন্তান হিসেবে আমরা লজ্জিত৷ মূর্খের দলেরা মহান নেতার ছবিকে অবমাননা করেছে৷ তারা জানে না যে বঙ্গবন্ধু কি। সেই নেতার ছবিকে অবমাননা করা হয়েছে৷ আমরা অবমাননাকারীদের সর্বচ্চো শাস্তির দাবি করছি৷”
ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহের হোসেন প্রিন্সের সঞ্চালনায় ও সভাপতি আবিদ আল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন হল ইউনিটের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক৷ সমাবেশের আগে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন৷ মিছিলটি মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে লেকচার থিয়েটার ভবন, কলাভবন ঘুরে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এসে শেষ করেন৷