দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র এবং এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষের মোবাইল ফোন নকল করে বিশিষ্ট নাগরিক ও রাজনীতিবিদদের হত্যার হুমকি দেয়ার ঘটনায় এক জামায়াত কর্মীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। আটক করেছে জিহাদী জন পরিচয়ে আইএসএর পক্ষে অনলাইনে প্রচারকারী এক শিবিরকর্মীকে। ডিবি জানিয়েছে, কোনো সাংগঠনিক কাঠামো না থাকলেও আইএসএর নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, অধ্যাপক অ্যামিরেটাস আনিসুজ্জামান, মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং মুনতাসির মামুনসহ বিশিষ্ট ১শ’৫৩ নাগরিককে হত্যার হুমকি দিয়ে মোবাইল ফোনে পাঠানো মেসেজ এর সূত্র ধরে তদন্তে নেমে ডিবি। নিজেকে আনসার উল্লাহ বাংলা টিম এবং আইএস নেতা দাবি করে ওই বার্তা পাঠানোর অভিযোগে ডিবি আটক করে নৈতিক স্খলনের অভিযোগে চাকুরি হারানো জকিগঞ্জ মাদ্রাসার শিক্ষক ও জামায়াত নেতা আব্দুল হককে।
ডিবির জয়েন্ট কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে জানা যায় যে আসামীর নাম আব্দুল হক। দীর্ঘদিন সে পলাতক ছিলো, গতকাল তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে দুইটি ল্যাপটপ ও একটি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়েছে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় সে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই তিন ব্যক্তিকে ফাঁসানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ করছে।
রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে ডিবি আটক করে ইসলামিক স্টেট আইএস এর পক্ষে অনলাইনে প্রচারকারী শিবিরকর্মী নাহিদ হাসানকে। ডিবি জানায়, নিজে নামাজ পড়াসহ ধর্মীয় কাজ না করলেও ইসলামের নামে জিহাদের ডাক দিয়ে আসছিলো সে।
মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে আইএসের কোনো সাংগঠনিক কাঠামো নেই। বাংলাদেশে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন রয়েছে, তার মধ্যে নিষিদ্ধও রয়েছে কয়েকটি। এরাই আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার উচ্চাশা পোষণ করে। সেজন্য নিজেদের বিভিন্ন নামের সংগঠনের সদস্য দাবী করে।
বিদেশী নাগরিক ও ব্লগার হত্যার পর পরই আইএস এর নামে দায় স্বীকার করে বার্তা প্রচার করতো টঙ্গীর একটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র নাহিদ।