নতুন প্রজন্ম শুধুমাত্র পাঠ্যবই পড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে। বাড়তি প্রতিভা বিকাশের চর্চা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। তারা ভাবছে, ‘জিপিএ ৫’ বোধহয় জীবনের সবকিছু! বিষয়টির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলেন বর্ষিয়ান অভিনেতা তারিক আনাম খান।
তিনি মনে করেন, জিপিএ ৫ পাওয়া মানেই একজীবনে সবকিছু অর্জন করা নয়। তারিক আনাম খান বলেন, জিপিএ ৫ কখনোই একজন সাকিব আল হাসান দিতে পারবে না। লেখাপড়ার সাথে এক্সট্রা ক্যারিকুলাম জীবনে অনেক জায়গা তৈরি করে দিতে পারে।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘টফি অ্যাপ’র আয়োজনে চলছে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের প্রতিভা বিকাশের রিয়্যালিটি শো ‘টফি স্টার সার্চ’। এই আয়োজনের বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেতা তারিক আনাম খান। সোমবার বিকেলে ধামরাইয়ের ফিল্ম ভ্যালিতে রিয়্যালিটি শোটির শুটিং স্পটে চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপ হয় তারিক আনামের।
তিনি বলেন, ইউএসএ, ইন্ডিয়া, ইউকে-তে বিভিন্ন ট্যালেন্ট হান্ট হয়। যেখানে শুধুমাত্র একটি প্রতিভা বের করে আনে না, অসংখ্য প্রতিভা খোঁজে বের করে। এই রিয়্যালিটি শো থেকেও বিভিন্ন ধরনের প্রতিভা বের করে আনা হচ্ছে। ভালো কিছু পেতে হলে চর্চার জায়গা ও প্ল্যাটফর্ম দিতে হয়। ‘টফি স্টার সার্চ’ যে আয়োজনটি করেছে এমন প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশে খুব গুরুত্বপূর্ণ। যখন জাজ করছি প্রতিযোগীর ভালো মন্দ দুটো দিকই জানাচ্ছি।
দেশের যে কোনো প্রান্তের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের নানান প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দিচ্ছে ডিজিটাল এন্টারটেইনমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘টফি অ্যাপ’। এসব কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের নিয়ে চলছে ‘টফি স্টার সার্চ’ ট্যালেন্ট হান্ট শো। নাচ, গান, অভিনয়, খেলাধুলা বা অন্য যেকোনো প্রতিভায় পারদর্শী প্রতিযোগীরা তাদের কনটেন্ট জমা দিয়ে স্টার সার্চের বাছাই পর্বে অংশ নেয়।
টফি কর্তৃপক্ষ জানায়, টফি অ্যাপে আপলোড করে প্রতিযোগিতাদের কনটেন্ট থেকে সর্বোচ্চ ভিডিও রিঅ্যাকশনের সংখ্যার ভিত্তিতে আটটি বিভাগ থেকে প্রাথমিকভাবে ৪৫০ জন প্রতিযোগী স্টুডিও রাউন্ডে নির্বাচন করা হয়। সেখান থেকে বিভিন্নভাবে মেধা যাচাই করে ৩০ প্রতিযোগী ফাইনাল পর্বে অংশ নেবেন। তাদের মধ্যে কোটি টাকার পুরস্কার প্রদান করা হবে।
বর্তমানে চলছে সেরা ১০-এর প্রতিযোগিতা। মূল পর্বের বিচারক হিসেবে তারিক আনাম খানের সঙ্গে আছেন চঞ্চল চৌধুরী ও চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। একটি বেসরকারি টিভিতে প্রচারের পাশাপাশি টফি অ্যাপেও স্টার সার্চ প্রচার হচ্ছে।