দিশেহারা একটা দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। দলের ভেতরে কোন্দল, কোন্দল ছিল দলের বাইরেও। জিনেদিন জিদান এলেন, সব সামলালেন আর জয় করলেন! দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ১৮ মাসের মাথায় রিয়াল মাদ্রিদকে পরিণত করলেন অপরাজেয় দলের চিরায়ত চেনারূপে। ফিফা বর্ষসেরা কোচের অ্যাওয়ার্ডটা জিদানের হাতে না উঠলে তাই বড্ড বেমানানই লাগত।
গত মৌসুমে যে ক্লদিও রানিয়েরির কাছে হেরে সেরা কোচের পুরস্কারটা হাতে তোলা হয়নি, সোমবার রাতে তার হাত থেকেই নিলেন বর্ষসেরার অ্যাওয়ার্ড। পেছনে ফেলেছেন চেলসিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জেতানো কোচ অ্যান্টনিও কন্তে এবং সিরি আ জয়ী দল জুভেন্টাসের কোচ ম্যাক্সিমিলিয়ানো অ্যাল্লেগ্রিকে।
২০১৫-১৬ মৌসুমে রাফায়েল বেনিতেজের বিদায়ের পর হাল ধরছিলেন রিয়ালের। লস ব্লাঙ্কোসদের যুব দল থেকে হঠাৎ মূল দলের কোচ হওয়ায় অনেকে বাঁকা চোখেও দেখেছিলেন জিদানকে। সকল সমালোচনার জবাব তো দিয়েছেনই, শক্ত হাতে সামলেছেন রিয়ালের ড্রেসিংরুমও।
গত মৌসুমে জিতেছেন চারটি শিরোপা। প্রথম কোচ হিসেবে টানা দ্বিতীয়বারের মত ধরে রেখেছেন উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফিটা। চার মৌসুম ধরে লা লিগা শিরোপা খরায় ভুগতে থাকা রিয়ালকে এনে দিয়েছেন লিগ টাইটেল।
ফিফার বর্ষসেরা কোচের পুরষ্কারটা হাতে ওঠা ছিল তাই সময়ের ব্যাপার মাত্র। খেলোয়াড়ি জীবনে ফিফা বর্ষসেরা জেতা জিদান সেরা কোচ হয়ে ধন্যবাদ দিতে ভুললেন না প্রিয় শিষ্যদেরও। অবশ্য ধন্যবাদ খানিকটা তার নিজেরও প্রাপ্য। ধুঁকতে থাকা দলকে কীভাবে অপরাজেয় দলে পরিণত করতে হয়, সেটা যেন আরেকবার নতুন করে দেখিয়ে দিয়েছেন ফরাসীদের প্রিয় ‘জিজু’।