চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

জিততে ১৩০ চাই মাহমুদউল্লাহর ঢাকার

বিপিএলে সিলেট পর্বের শেষদিনের প্রথম ম্যাচে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার বোলারদের সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছে খুলনা টাইগার্সের টপ ও মিডল অর্ডার। সিকান্দার রাজার লড়াকু ফিফটিতে মুশফিকের দল তুলতে পেরেছে ৮ উইকেটে ১২৯ রান।

বুধবার দুপুরে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ওভারেই ফেরেন সৌম্য সরকার। আগের ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে ৬২ বলে ৮২ রানে অপরাজিত থাকা সৌম্য এদিন এক রানে থামেন। রুবেল হোসেনের বলে মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে শুভাগত হোমের তালুবন্দি হন।

৫ রান করে রান আউট হন জাকের আলী। দ্বিতীয় রান নিতে দেন দৌড়। দ্রুত সময়ের ভেতর সাড়া দেননি আন্দ্রে ফ্লেচার। সীমানার কাছ থেকে দারুণ ফিল্ডিংয়ে চার ঠেকান তামিম। তার ছোড়া বল ধরেন ইমরান উজজামান। ব্যাটারদের ভুল বোঝাবুঝির সুযোগে বোলার রুবেলের কাছে বল দেন ইমরান। রুবেল অনায়াসেই বেল ফেলে দেন।

চতুর্থ ওভারে ৬ রান করে ফেরেন ফ্লেচার। আরাফাত সানির বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে কভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ধরা পড়েন। পরের বলে ইয়াসির আলী রাব্বিকে বোল্ড করে হ্যাটট্রিকের আশা জাগিয়েছিলেন সানি। খুলনা তখন ১২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে।

আগের ম্যাচে ৩৮ বলে ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা মুশফিক ১২ রানে সাজঘরে ফেরেন। আজমাতউল্লাহ ওমারজাইয়ের বলে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে হন বোল্ড। ৩২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে খুলনা।

মেহেদী হাসান ১৭ রান করে কাইস আহমেদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে খুলনার স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৫৮ রান।

সপ্তম উইকেটে থিসারা পেরেরাকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই করেন সিকান্দার রাজা। গড়েন ৩৯ রানের জুটি। দলকে একশর গণ্ডি পার করিয়ে নেন। পেরেরা ১২ রান করে ওমারজাইয়ের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ক্রিজ ছাড়লে জুটি ভাঙে।

শেষদিকে লড়াইটা ভালোভাবেই চালিয়ে যান রাজা। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৫০ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৬৪ রান। ঢাকার জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩০ রান।

ঢাকার হয়ে আরাফাত সানি ১৫ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ২৫ রান খরচায় ২ উইকেট পান ওমারজাই। একটি করে উইকেট নেন রুবেল, ফারুকি ও কাইস।