নাম তার চেত্তিহোদি শামসুদ্দিন। ভারতীয় আম্পায়ার। জয়ের পথে থাকা দলকে ভুল সিদ্ধান্ত দিয়ে হারিয়ে ‘ইতিহাস’ সৃষ্টি করতে রীতিমতো ওস্তাদ। সবশেষ এমন নজির সৃষ্টি করেছেন মঙ্গলবার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় দেখতে থাকা জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে দিয়েছেন! এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতকে একবার হারা ম্যাচ জিতিয়ে দিয়েছিলেন।
সফরের একমাত্র টেস্টে ৪ উইকেটে হেরে গেছে জিম্বাবুয়ে। জয়ের অন্যতম কারিগর ডিকেভেল্লা ব্যক্তিগত ৩৭ রানের সময় স্টাম্পিং হয়েও বেঁচে যান। রিপ্লেতে দেখা যায়, দাগের ওপরে ছিল ডিকেভেল্লার পা। দাগের ভেতরে আনতে পারেননি। স্টাম্পিংয়ে ‘অন দ্য লাইন মানে’ পরিষ্কার আউট। কিন্তু ভারতীয় শামসুদ্দিন বলেন ‘নট আউট’! পড়ে পাওয়া জীবন পেয়ে ৮১ রান করে শ্রীলঙ্কাকে রেকর্ড গড়া জয় এনে দেন ওই ডিকেভেল্লা।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারত-ইংল্যান্ড টি-টুয়েন্টি ম্যাচে জো রুটকে হাস্যকর একটি এলবিডব্লিউ দিয়ে আলোচনায় আসেন এই শামসুদ্দিন। শেষ পর্যন্ত ইংলিশরা ম্যাচটি হেরেই যায়। পরের ম্যাচে দুইদল মাঠে নামার ঠিক আগে ইংল্যান্ডের আপত্তির মুখে শামসুদ্দিনের পরিবর্তে নিতিন মেননকে মাঠে দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হয়। শামসুদ্দিন চলে যান থার্ড আম্পায়ারের চেয়ারে। কী অবাক কাণ্ড! রিপ্লে দেখেও ঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না তিনি। শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে ম্যাচে থার্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেই তো ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছেন!
জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেমার ম্যাচ শেষে ক্ষোভ প্রকাশ করেন, ‘সত্যি কথা বলতে কী, আমি যা দেখেছি তাতে মনে হয়েছে এটা নটআউট দেয়ার কোনও কারণ নেই। আপনার হাতে প্রযুক্তি আছে আর তাতে স্পষ্ট সব দেখা যাচ্ছে। একটি টেস্ট ম্যাচের শেষদিন এমন হলে জেতা খুব কঠিন হয়ে যায়।’
শামসুদ্দিনের এমন সিদ্ধান্ত দেখে ক্রিকেটবিশ্ব ইতিমধ্যে সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি ভিডিও রিপোর্টে ভারতীয় এই আম্পায়ারের সমালোচনা করা হয়েছে। ক্রিকইনফোর সাংবাদিক শশাঙ্ক কিশোর এমন কাণ্ডকে রীতিমতো অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। টুইটারে তিনি মন্তব্য করেন, ‘প্রযুক্তির যুগে এমন বাজে সিদ্ধান্ত দেয়া অপরাধের খাতায় পড়ে। ডিকেভেল্লার পেছনের পা ক্রিজের ভেতর ছিল না। বাজে আম্পায়ারিং।’