চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

জিকা: মশা না মানুষ, কার নমুনা পরীক্ষা আগে?

এডিস মশার মধ্যে ‘জিকা’ ভাইরাসের জীবাণু আছে কি না তা পরীক্ষার জন্য
‘রি-এজেন্ট’ চেয়ে আন্তর্জাতিক একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে
স্বাস্থ্য অধিপ্তরের ‘রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ’।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশার
চেয়ে আগে ডেঙ্গু, চিকেনগুনিয়া এবং জিবিএসে আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষাটাই
জরুরী।

‘জিকা’র সংক্রমণ থেকে এখনো মুক্ত বাংলাদেশ। তারপরও প্রতিরোধক ব্যবস্থা হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ইনট্রিগ্রিটেড ডিএনএ টেকনোলজি-আইডিটি’র কাছ থেকে জিকার জীবাণু পরীক্ষার ‘রি-এজেন্ট’ আনছে।

পাশাপাশি বিমান বন্দরেই ‘জিকা’ আক্রান্ত দেশগুলো থেকে ফেরা মানুষদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, জিকার জন্য যা প্রয়োজন তার সমস্ত কিছুই আমরা সংগ্রহ করেছি। যেমন এটি সনাক্ত করার জন্য পিসিআর নামে একটি পরীক্ষা আছে। জরুরী অবস্থা ঘোষণার ওই রাতেই আইডিটির সঙ্গে আমরা অনলাইনে যোগাযোগ করি। মানবদেহের পরীক্ষাও করতে হবে। যখন আমরা মশার মধ্যে সনাক্ত করতে পারবো যে মশার শরীরে এই ভাইরাস আছে তখন পরীক্ষা করতে হবে যে মানুষের শরীরেও এই ভাইরাস আছে কিনা।

বিশেষজ্ঞ ভাইরোলজিস্ট নজরুল ইসলাম বলছেন, ছোট অপরিণনত মস্তিস্কের শিশু জন্ম ছাড়াও জিবিএস বা গুলেনবারি সিনড্রম বা স্নায়ুবিক সমস্যা সৃষ্টিকারক ‘জিকা’ ভাইরাস জনস্বাস্থ্যের জন্যও হুমকি বলেই জরুরী অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাই দেশে ডেঙ্গু, চিকেনগুনিয়া, গুলেনবারিন সিনড্রম এবং হঠাৎ শরীর অসার হয়ে যাওয়া সমস্যায় আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষার পরামর্শ তার।

বিএসএমএমইউ এর ভাইরোলজিস্ট বিশেষজ্ঞ ও সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, মানুষের নিরাপত্তাটাই সবচেয়ে বেশি জরুরী। প্যারালাইসিস হচ্ছেন যারা তাদের রক্ত পরীক্ষা করা, ডেঙ্গু হয় যাদের তাদের পরীক্ষা করা। এতসব পরীক্ষা করে আমরা দেখছি আমাদের দেশে জিকা আছে কিনা?

তার মতে, মশা নিধনে জোরদার কার্যক্রম নেয়া ছাড়াও মাইক্রোকেফাতে আক্রান্ত নবজাতকদের নজরদারিতে আনতে হবে। রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষও বলছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ম্যাটারনোফিটাল ইউনিট’ এবং সব সরকারী হাসপাতালের নবজাতক বিভাগগুলোকে আলাদা করে পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা হচ্ছে।