চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও চিত্রনায়ক জায়েদ খানের জন্মদিন আজ (৩০ জুলাই)। এ উপলক্ষে যেনো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) উৎসবের আমেজ! শুধু তাই নয়, সোমবার সন্ধ্যায় এফডিসিতে নানা আয়োজনে জন্মদিন পালন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ‘অন্তর জ্বালা’ ছবির এই নায়ক জন্মদিন উপলক্ষে চ্যানেল আইয়ের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘তারকা কথন’-এ হাজির হয়ে এমনটা জানান।
অনন্যা রুমার প্রযোজনায় চ্যানেল আইয়ের নিয়মিত আয়োজন ‘তারকা কথন’-অনুষ্ঠানে জায়েদ খান একা নন, তার সঙ্গে ছিলেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক। সাফি আহমেদের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের বেশীর ভাগ জুড়েই চিত্রনায়ক জায়েদ খান তার জন্মদিনের নানা আয়োজন নিয়ে কথা বলেন।
জন্মদিন পালন প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, ‘এফডিসিতে গরু জবাই দিয়েছি। সন্ধ্যায় চার-পাঁচ’শ মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক, টেকনিশিয়ান সবাই উপস্থিত থাকবেন। তারা সবাই আমার ভালোবাসার কাছের মানুষ। তাদের নিয়েই জন্মদিন পালন করবো। এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর এবং সদস্য সাইমন সাদিককে। তারাই সবকিছুর আয়োজন করেছেন।’
এসময় নায়ক সাইমন বলেন, ‘সিনেমার মানুষদের নিয়ে এফডিসিতে ব্যাপক আয়োজন করা হয়েছে। গরু জবাই দেয়া হচ্ছে, বিশাল বড় কেক থাকছে, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। সবমিলিয়ে জায়েদ ভাইয়ের জন্মদিন উপলক্ষে এফডিসিতে আজ সারাদিন উৎসবমুখর একটা পরিবেশ বিরাজ করছে। তার উদ্যোগেই আমরা তার পাশে আছি। জায়েদ ভাই সিনেমার জন্য সবসময় কাজ করেন। তিনি অতি উৎসাহী মানুষ। শিল্পীদের ক্ষেত্রে এটা থাকার দরকার আছে।’
আজকের দিন উপলক্ষ্যে অনেকেই শুটিং বাতিল করেছেন জানিয়ে নায়ক জায়েদ খান আরও বলেন, ‘এবারে আমার জন্মদিনটা একটু আলাদাভাবে পালন করছি। শিল্পী সমিতির সেক্রেটারি হওয়ার পর এবার বড় আয়োজন জন্মদিন করছি। আমার জন্মদিন উপলক্ষে অনেকে তাদের শুটিং বাতিল করেছে। সন্ধ্যায় সবাই আসবে। নাচবে, গাইবে। মজা করবে। এটাই আমার কাছে বড় পাওয়া।’
শৈশবের জন্মদিনের স্মৃতিচারণের প্রসঙ্গ টেনে জায়েদ খান বলেন, তখন জন্মদিন কাটতো অনেক সাদামাটাভাবে। কোনো দায়বদ্ধতা কাজ করতো না তখন। এখন অনেক সামাজিকতা ও দায়বন্ধতা কাজ করে। ছোটবেলায় বন্ধুদের সঙ্গে কেক কাটতাম রাতে, তারপর দিনের বেলা ঘুরে বেড়াতাম, সিনেমা দেখতাম। আমি মফঃস্বলের ছেলে। ঢাকা এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন টিএসসির ক্যাফেটোরিয়ায় বন্ধুরা আমাকে নিয়ে কেট কাটতো। এখন যতোই আয়োজন করি না কেন, আমি আমার শৈশবকে মিস করি।
এরপরেই জায়েদ খানকে লাইভে ফোন করে শুভেচ্ছা জানান মিশা সওদাগর। মিশা ফোনের ওপাশ থেকে বলেন, ব্যক্তিগত জীবন ও চলচ্চিত্র নিয়ে তুমি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছো এরপরেও তোমার জন্য যদি কেউ হাত তুলে দোয়া না করে সেটা ভুল করবে। আমি আশা করি তুমি এভাবেই এগিয়ে যাবে। তোমার যেন কোনো প্রতিযোগী না থাকে। নীতিগতভাবে আমরা যে এক মৃত্যুর আগেও যেন আমরা এক থাকি।
ছবি: ওবায়দুল হক তুহিন