জার্মানিতে সন্ত্রাস বিরোধী তৎপরতার অংশ হিসেবে বোরকা পরা নিষিদ্ধ করা হতে
পারে।
দেশটির গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টমাস ডি
মেইজিয়ের এ সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনায় সমর্থন দিতে যাচ্ছেন। পরিকল্পনায়
আরও রয়েছে অপরাধীদের, দ্রুততার সঙ্গে দেশ থেকে বহিষ্কার এবং চিকিৎসক-রোগী
গোপনীয়তার শর্ত শিথিলের প্রস্তাব।
জার্মানির কয়েকটি শহরে সম্প্রতি বারবার হামলা হচ্ছে এবং এর বেশ কয়েকটি হামলার সঙ্গে রয়েছে ইসলামপন্থি সন্ত্রাসীদের যোগসাজশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে আসতে পারে মহিলাদের বোরকা পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মতো সিদ্ধান্তের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টমাস ডি মেইজিয়ের আজ বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে কিছু প্রস্তাবনা প্রকাশ করবেন বলে কথা রয়েছে।
জার্মানিতে খুব বেশি মানুষ বোরকা বা হিজাব পরে না। দেশটিতে পোশাকের ওপর তেমন কোনো নিষেধাজ্ঞাও নেই। এমনকি একটি সরকারি কমিটি ২০১২ সালে একটি প্রতিবেদন দিয়েছিল যেখানে বলা হয়েছিল বোরকা এবং মুখমণ্ডল আড়াল করার পোশাক নিকাব নিষিদ্ধ করা হলে তা হবে অসাংবিধানিক।
তবে এক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। যেমন, জার্মানিতে ফুটবল মাঠে গিয়ে মুখমণ্ডল আড়াল করা বা ঢেকে রাখা নিষিদ্ধ। এর আগে ফ্রান্স, বেলজিয়াম এবং ইটালির কিছু শহরে বোরকা পরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
অন্যদিকে, চিকিৎসক-রোগী গোপনীয়তার শর্ত ভঙ্গ করলে জার্মানিতে ডাক্তারদের কারাদণ্ড ও জরিমানা ভোগ করতে হয়।
মেইজেয়েরের নতুন প্রস্তাবে বলা হচ্ছে, কোনো রোগীর কোনো কর্মকাণ্ডে সন্দেহের উদ্রেক হলে চিকিৎসকদের উচিৎ হবে দ্রুত কর্তৃপক্ষকে তা জানানো। এই প্রস্তাবটি নিয়ে জার্মানির বামপন্থি রাজনীতিবিদ ও চিকিৎসকদের তরফ থেকে থেকে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাবে যা যা থাকছে:
— বোরকা নিষিদ্ধ করা
— জার্মানদের দ্বৈত নাগরিকত্ব ধারণ থেকে বিরত রাখা
— ২০২০ সাল নাগাদ ১৫ হাজার পুলিশ নিয়োগ দেয়া
— ট্রেন এবং পরিবহন কেন্দ্রগুলোতে আরও বেশি পুলিশ মোতায়েন করা
— চরমপন্থি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য মসজিদগুলোতে অর্থায়ন করা আরও কঠিন করে তোলা
— বিদেশি ঘৃণা প্রচারকদের দেশ থেকে বিতাড়িত করা
— চিকিৎসক-রোগী গোপনীয়তার শর্ত শিথিল করা।