ওসামা বিন লাদেনের এক সময়ের দেহরক্ষী তিউনিসিয়ার নাগরিক, তিনি ১৯৯৭ সাল থেকে জার্মানিতে বসবাস করছেন। প্রতিমাসে এক হাজার ইউরোর বেশি করে কল্যাণ ভাতাও পাচ্ছেন।
দেশটির স্থানীয় সরকার এ তথ্য জানিয়েছে।
এই ব্যক্তির নাম প্রাথমিকভাবে সামি এ বলে জানা গেলেও জার্মান গণমাধ্যম ব্যক্তিগত গোপনীয়তার স্বার্থে তার পুরো নাম প্রকাশ করেনি।
তবে এই ব্যক্তি জিহাদি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন। নির্যাতনের ভয়ে তিনি দেশত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন।
বিবিসি জানায়: ২০০৫ সালের জার্মানির সন্ত্রাসবিরোধী একটি বিচারের সাক্ষির বর্ণনা মতে, সামি এ ২০০০ সালে বেশ কয়েক মাস আফগানিস্তানে বিন লাদেনের একজন দেহরক্ষীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও জার্মানির একজন বিচারক এই সাক্ষির কথা বিশ্বাস করেন।
২০০৬ সালেও সামি এ এর বিরুদ্ধে আল কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তদন্ত করা হয়, তবে তাকে বিচারের মুখোমুখী করা হয়নি।
সামি এ উত্তর জার্মানির বোচাম শহরে জার্মান স্ত্রী ও চার সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন। ১৯৯৯ সালে অস্থায়ী বসবাসের অনুমতি পান। প্রযুক্তি বিষয়ক কিছু প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে ২০০৫ সালে তিনি বোচামে প্রবেশ করেন।
তাকে নিরাপত্তা ঝুঁকির তালিকায় রাখায় ২০০৭ সালে তার রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হয়। তাকে প্রতিদিনিই পুলিশের কাছে হাজিরা দিতে হয়।
একসময় আল-কায়েদার নেতৃত্বে ছিলেন ওসামা বিন লাদেন এবং ২০০১ সালে টু্ইন টাওয়ারে হামলা চালান তিনি। ২০১১ সালে পাকিস্তানে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর গুলিতে নিহত হন তিনি।
৯/১১ এর ওই হামলায় অংশ নেয়া কমপক্ষে তিনজন আত্মঘাতী পাইলট ছিলেন আল-কায়েদার উত্তর জার্মানির হামবুর্গ শাখার।