বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকায় জামালপুরে ৫৯ ইউনিয়নের অন্তত ৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আজ সকালে যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বয়ে গেছে।
রেললাইন তলিয়ে যাওয়ায় জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া জামালপুর-তারাকান্দি হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। মাদারগঞ্জের চর নাদাগাড়ীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে নতুন করে ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পানির তোড়ে রাস্তা ভেঙ্গে বিভিন্ন উপজেলার সাথে ইউনিয়ন পর্যায়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পানির নীচে তলিয়ে গেছে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর ফসলী জমি। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ৪১১৬টি পুকুরের প্রায় ২২ কোটি টাকার মাছ।
বন্যার পানি প্রবেশ করায় ৯৮৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে এ পর্যন্ত ৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
দুর্গত এলাকায় খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও গো খাদ্যের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বন্যায় চিকিৎসা সেবা দিতে ৮০ টি মেডিক্যাল টিম কাজ করে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য ৮৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানায় প্রশাসন।