জামালপুরের বন্যার আরও অবনতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে গত ২৪ ঘণ্টায় জামালপুরে যমুনা নদীর পানি ১৩ সে.মিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৭ সে.মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সকালে জামালপুরে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থেকে যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্ট ৫৭ সেন্টিমিটার উপর প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ, সরিষাবাড়ি ও বকশীগঞ্জে বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে ছয় উপজেলায় ২৮টি ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে ।
পানি বন্দী হয়ে পরেছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ, কাঁচা পাকা সড়ক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বন্ধ হয়ে গেছে বন্যা দূর্গত এলাকার নির্মাণাধীন উন্নয়ন কাজ। এছাড়াও ভাঙ্গনের কবলে পরে ২৬০টি বসতঘর বিলিন হয়ে গেছে।
বন্যা দুর্গতদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি উপজেলায় আগেই ৩৫ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ২৭ লাখ টাকা রাখা হয়েছে। এছাড়াও জেলা প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪শত মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৮২ লাখ টাকা। দুর্যোগ মোকাবিলা ১৫৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।