রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিলের শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন আগামী ১৯ নভেম্বর।
এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা ও আদালত অবমাননার অভিযোগের আবেদন দুটি শুনানির জন্য একই দিন ধার্য করা হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর পক্ষের আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী’র আজ ব্যক্তিগত সমস্যা থাকায় তার পক্ষ থেকে আট সপ্তাহ সময় চাইলে রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগ ১ সপ্তাহ সময় দিয়ে ১৯ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন।
আদালতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে সময় চান আইনজীবী মো: জিয়াউর রহমান। জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা ও আদালত অবমাননার অভিযোগের আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর ও আইনজীবী আহসানুল করিম। এসময় আদালতে রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
এক রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরবর্তীতে হাইকোর্ট রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াতে ইসলামী।
অন্যদিকে জামায়াতের নিবন্ধন সংক্রান্ত মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আলাদা আবেদন করা হয়। যেখানে নিবন্ধন সংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় দলটি নিবন্ধন ফিরে পাবার দাবি করায় আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়।