জাকির হোসেন: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে গেরুয়া গ্রামের ২৫০ জনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রোববার রাতে এ মামলা দায়ের করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা জেফরুল হাসান চৌধুরী।
সোমবার সকালে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুর রশিদ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার বিচারসহ ছয় দফা দাবি আদায়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেবার পর এ মামলা করা হয়।
অন্যদিকে কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে জোরপূর্বক ওঠা শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। ডাইনিং-ক্যান্টিনসহ অন্যান্য আবাসিক সুবিধা বন্ধের মধ্যেই হলে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের সোমবার সকাল দশটার মধ্যে হল ছেড়ে যাবার নির্দেশ দেয়া হলেও তা মানেননি শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেছেন: আইন অমান্য করা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাস সংলগ্ন গেরুয়া গ্রামে শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষের জের ধরে পরদিন শনিবার আন্দোলনে নামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
একপর্যায়ে তালা ভেঙে বন্ধ থাকা হলগুলোতে প্রবেশ করে তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান জানান: শিক্ষার্থীরা ১৬টি হলের সবকটির তালা ভেঙে ফেলেছে এবং আটটি হলে অবৈধভাবে ৫ শতাধিক অবস্থান করছে।
হলে শিক্ষার্থীদের অবস্থান প্রসঙ্গে হল প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেন বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব স্বায়ত্বশাসনের মধ্যে পরিচালিত হলেও রাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে হল খুলে দেওয়ার সুযোগ নেই।
কোভিড-১৯ মহামারিতে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় সরকারি নির্দেশে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ও ২০২০ সালের ১৯ মার্চ থেকে ক্লাস ও হল বন্ধ রয়েছে। তবে অনলাইন ক্লাস চালু রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ক্রিকেট টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গেরুয়া বাজার এলাকার গ্রামবাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় জাবি শিক্ষার্থীরা। এতে প্রায় ৪০ জন আহত হয়। এখনও ওই এলাকায় দোকানপাট বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা। যেকোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে সেখানে।