আইন অনুষদের (‘এফ’ ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির প্রথমবর্ষের সকল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। এর আগে ৮ অক্টোবর গাণিতিক ও পদার্থবিজ্ঞান অনুষদের (‘এ’ ইউনিট) পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়।
পুরো ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে প্রক্সি দিতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে আটক হন ঢাবির দুই শিক্ষার্থীসহ কুয়েটের এক শিক্ষার্থী। পরে জালিয়াতির অভিযোগে তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
গত ৯ অক্টোবর সোমবার গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের (‘এ’ ইউনিট) পরীক্ষা চলাকালে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ৪০৫ নম্বর কক্ষ থেকে কামরুজ্জামান রাজ্জাক নামে এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। তিনি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) মেকানিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। পরে ভ্রাম্যমাণ আদলতের মাধ্যমে রাজ্জাক ও তার সহযোগী একজনকে ১৯৬০ সালে দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারা অনুযায়ী এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে থানায় পাঠানো হয়।
১৫ অক্টোবর সকালে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের (‘বি’ ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গেলে রাকিবুল ইসলাম নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষার প্রথম শিফট চলাকালে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনের এক নম্বর কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। জালিয়াতের অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত রাকিবুল হাসান (১৯) ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র এবং বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
সর্বশেষ মঙ্গলবার আইন অনুষদের (‘এফ’ ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গেলে মো. মনির হোসাইন (২৬) নামে এক ঢাবি শিক্ষার্থীকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা চলাকালে পাবলিক ও হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের ২ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের সাবেক ছাত্র এবং সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
পরে জালিয়াতির অভিযোগে এ ঘটনায় মনিরকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সাভারের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রণব কুমার ঘোষ ১৯৮০ এর ৩০ এর ‘খ’ ধারায় এ রায় দেন। মনির উমর ফারুক বাবু (রোল-৬২০৩২৫) নামে এক শিক্ষার্থীর পরিবর্তে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন।
এ বছর ১ হাজার ৯৮৬টি আসনের বিপরীতে ২ লাখ ৯৯ হাজার ১৭১জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। সেই হিসেবে এবার প্রতি আসনের বিপরীতে ১৫১জন পরীক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। প্রতিটি ইউনিট ও ইনস্টিটিউটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার একদিনের মধ্যেই ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলসহ ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (www.juniv.edu/admission) থেকে জানা যাবে।