জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীকে বাসের মধ্যে যৌন হয়রানি ও উত্যক্ত করার অভিযোগে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন এক বখাটে যুবক।
ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগ, বখাটে যুবক তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করার চেষ্টা করেছে এবং স্মার্টফোনে গোপনে একাধিক আপত্তিকর ছবি তুলেছে।
গণধোলাইয়ের শিকার বখাটে যুবকের নাম রনি আহমেদ। তিনি ফরিদপুরের মধুখালী গ্রামের মোক্তার আহমেদের ছেলে। তার স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, সে সাভারের জিকা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির একজন কর্মচারী। সাভারের ইমান্দিপুর এলাকায় মালেক সাহেবের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে।
কিন্তু তার মানিব্যাগে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রে দেখা যায় তার নাম মোঃ আলী এবং বাবার নাম মোঃ রফিক। পরে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্রটি ভুয়া বলে স্বীকার করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভুক্তভোগী ছাত্রী ঢাকা থেকে বাসে করে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে পাশের সিটে বসে থাকা বখাটে যুবক গোপনে মোবাইলে ছবি ধারণ করে এবং ব্যঙ্গাত্মক উক্তি করে মুখ ভ্যাংচায়।
পরে টের পেয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী যুবকের হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে করে দেখতে পান মোবাইলে তার (ছাত্রী) লুকিয়ে তোলা ৩ টি ছবি রয়েছে। প্রমাণ পাওয়ার পরই তিনি (ছাত্রী) তার সহপাঠীদের ফোনে বিষয়টি জানান।
এরপর বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ডেইরি গেটে আসলে ঐ যুবককে গণধোলাই দেয় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।
খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন ও নিরাপত্তা কর্মী দাউদ মোল্লা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে বখাটেকে তাদের হাতে সোপর্দ করেন শিক্ষার্থীরা।
পরে ঐ যুবক নিরাপত্তা অফিসে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার কৃতকর্মের বিষয়টি স্বীকার করেন। ভবিষ্যতে আর এরকম অপরাধ না করার নিশ্চয়তা দিলে মুচলেকা দিয়ে পরে মুক্তি পান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, বখাটে যুবক তার কর্মকাণ্ডের কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে এবং ভবিষ্যতে এরকম অনৈতিক কাজে না জড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে ফলে তার মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছি।