বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভির সাভার প্রতিনিধি মিঠুন সরকারকে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রথম আলো ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিনিধিকে হুমকি দেওয়াকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে কর্মরত অর্ধশত সাংবাদিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে মিঠুনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আবুল হোসেন বলেন, ‘একাত্তর টিভির সাভার প্রতিনিধি যাতে আপাতত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আগামীকাল আমি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে বিষয়টি জানাবো।’
মিঠুন সরকার পুরো ঘটনাকে পরিকল্পিত হিসেবে উল্লেখ করে চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, কিছু মানুষ ইচ্ছে করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমার পেছনে লেগেছে।
ঘটনার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে একাত্তর টিভির বার্তাপ্রধান সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের এখনো কিছু জানানো হয়নি। লিখিত কোনো কিছুও আমাদের পাঠানো হয়নি। অনলাইনে পড়ে যতটুকু জেনেছি। আনুষ্ঠানিকভাবে যখন আমাদেরকে জানানো হবে; তখন আমরা কোনো পদক্ষেপ নিবো।’
জাবিতে কর্মরত সাংবাদিকরা লিখিত অভিযোগে জানান, গত ৮ জুন রাতে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীর হাতে মারধরের শিকার হন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম। এর প্রতিবাদে পরদিন ৯ জুন সকালে মানববন্ধন করে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ। এতে সংহতি জানায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব, সংবাদিক সমিতি ও ছাত্র ইউনিয়ন।
“কিন্তু একাত্তর টিভির সাভার প্রতিনিধি মিঠুন সরকার অনুষ্ঠিত মানববন্ধনটিকে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করেন।”
ওইদিন একাত্তর টিভিতে প্রচারিত সংবাদে তিনি উল্লেখ করেন, ‘গত ৪ জুন নির্বাচনের দিন খ্রিস্টান পল্লীতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ এবং প্রেসক্লাব মানববন্ধন করেছে।’
৪ জুন খ্রিস্টান পল্লীর ঘটনায় মিঠুন সরকার নিজেও মারধরের শিকার হয়েছিলেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়, একাত্তর টিভিতে প্রচারিত ওই সংবাদের সমালোচনা করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় মিঠুন সরকার ১১ জুন রাতে দৈনিক প্রথম আলোর জাবি প্রতিনিধি রাসেল রাব্বী ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের জাবি প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম সীমান্তকে মুঠোফোনে গালাগাল করেন।
এছাড়াও তিনি ওই দুজনের বিরুদ্ধে সচিত্র মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার হুমকি দেন। এর কিছুক্ষণ পরই মিঠুন সরকার তার একাধিক ফেসবুক আইডি থেকে প্রথম আলোর প্রতিনিধি রাসেল রাব্বীর ছবিসহ মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করে স্ট্যাটাস দেন।
লিখিত অভিযোগে সাংবাদিকরা মিঠুন সরকারের বিরুদ্ধে আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহণ, ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণাসহ ৪টি দাবি জানান।