এক ছাত্রকে থাপ্পড় দেওয়ার ঘটনায় কোনো ধরণের কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়া জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
এবিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো.আখতারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। যে দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করা হয় তারা হলেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৬ ব্যাচের সুমাইয়া বিনতে একরাম ও আনিকা তাবাসসুম।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আইনজীবী এস এম আরিফুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নাহিদ মাহতাব।
বহিষ্কারাদেশের ভাষ্য অনুযায়ী ,গত ২৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থীকে নৃ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুমাইয়া বিনতে একরাম থাপ্পড় দেওয়া (শারীকিভাবে লাঞ্ছিত করা), অশ্লীল ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা ও অসদাচরণ করে প্রমাণিত হয়। এছাড়া নৃ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আনিকা তাবাসসুম মীমের বিরুদ্ধেও অশ্লীল ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা ও অসদাচরণের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় প্রক্টরিয়াল বডির প্রতিবেদন ও ডিসিপ্লিন বোর্ডের জরুরি সভার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেটের জরুরী ভার্চ্যুয়াল সভায় দুই শিক্ষার্থীকে শাস্তি দেওয়া হয়। যেখানে সুমাইয়াকে এক বছরের জন্য এবং আনিকা তাবাসসুমকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়। পরে এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দুই শিক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সে রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার রায় দেন হাইকোর্ট।