জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছিনতাইয়ে বাধা দেয়ায় সেখানে কর্মরত চ্যানেল আই প্রতিনিধি মাহমুদুল হক সোহাগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক ছাত্রীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের আয়োজনে মানববন্ধনে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এসময় তাদের সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব, জাবি সাংস্কৃতিক জোট, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি সংসদ, জাবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি সহ আরো কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা সংহতি জানিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকর্মী কর্তৃক শিক্ষার্থী মারধরের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নয়। এ ধরণের কর্মকাণ্ড আমাদের জন্য অশনি সংকেত। একজন সাংবাদিক যদি ছাত্রলীগের নেতাকমীর মারধরের শিকার হন তবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে? তাই অবিলম্বে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে মো. মুসা বলেন, সারা দেশে সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করার জন্য হামলা-অত্যাচার-নিপীড়ণ বেড়েই চলছে। সন্ত্রাসী হামলা করে সাংবাদিকদের প্রতিবাদ বন্ধ করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসসহ সারা দেশে শৃংখলা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা প্রয়োজন। এসময় তিনি মাহমুদুল হক সোহাগের ওপর হামলাকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচার দাবি করেন।
মানববন্ধনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাবি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক শোভন মাহমুদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নিপীড়ণ বন্ধে প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে। অপরাধীদের বিচারের আওতায় না আনলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অতীতের মতো অদূর ভবিষ্যতে আরও মানিকের আবির্ভাব হতে পারে।
এছাড়া মানববন্ধনে জাবি সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষ থেকে মোজাম্মেল হক মারুফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি এনামুল হক এনাম, বর্তমান সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন সম্রাট, আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী অরিত্র চন্দ্র দাস, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুল এলাকায় দুই বহিরাগতকে ছিনতাই ও মারধরের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে মাহমুদুল হক সোহাগ ও অপর এক ছাত্রী সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। পরে হামলার বিচার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়।