জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ধর্মঘট ও প্রশাসনিক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
অপরদিকে উপাচার্য ড. ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের প্রতিবাদে পূর্ব নির্ধারিত গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করছে উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও অ্যাকাডেমিক ভবনে গিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ ব্যানারে তারা এ গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করেন।
উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে চলমান আন্দোলনকে ‘মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র’ দাবি করে তারা এ কর্মসূচি পালন করছেন।
গণসংযোগে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে উপাচার্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগকারীদের চিহ্নিত করে দুর্নীতিবাজদের শাস্তির দাবি জানানো হয়। গণসংযোগ কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে বুধবার সকালে উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবিরোধী চলমান আন্দোলনকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার।
তিনি বলেন, আন্দোলন আর চক্রান্ত দুইটা দুই জিনিস। আমি মনে করি, আন্দোলন হলে আলোচনাও হবে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে। আলোচনায় না গিয়ে আন্দোলন করলে তা চক্রান্তই বলা যায়।
বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন, আন্দোলনকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য উপাচার্য আলোচনায় বসলেও তারা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে। এতেই প্রমাণিত হয় এই আন্দোলনের পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। ষড়যন্ত্রমূলক কোনো অযৌক্তিক আন্দোলনের কাছে আমরা মাথা নত করব না।