শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং জনপ্রিয় লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিচার চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মানববন্ধন করেছেন।
সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ডাকা মানববন্ধনে কয়েকশ’ শিক্ষক অংশ নেন।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন: ড. জাফর ইকবাল সবসময়ই হুমকির মধ্যে ছিলেন, সরকারের তরফ থেকে তাকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। তিনি যতো থ্রেটের মধ্যে ছিলেন না কেন, সবসময়ই তিনি তার আদর্শে অটুট ছিলেন।
‘উদার নৈতিক ও মানবিক গুণাবলীর বিকাশে যে ধরনের কর্মপদ্ধতি অবলম্বন করা দরকার, যে ধরনের বক্তব্য প্রদান করা দরকার সেটি তিনি সবসময়ই অব্যাহত রাখতেন’, বলেন ঢাবি উপাচার্য।
তিনি বলেন: সাংগঠনিক যে জঙ্গি তৎপরতা বাংলাদেশে ছিল সেখান থেকে সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃঢ় অবস্থানের কারণে সৌভাগ্যক্রমে আমরা রক্ষা পেয়েছি। তারপরেও সমাজের কিছু অর্বাচীন, কিছু আবর্জনা, কিছু নিচু মনের মানুষ থাকে। তাদের বিবেকবোধ এতোই অন্ধ যে তাদের মধ্যে মানুষের প্রতি দরদ, মানবপ্রেম নেই।
নির্বাচনী বছর হওয়ায় ২০১৮ সালে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে জঙ্গি তৎপরতার বিস্তারের আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন: ২০১৮ সাল নির্বাচনের বছর। এই বছরে নানাবিধ অপশক্তির উত্থান ঘটবে, সেখানে কেউ হয়তোবা জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটাবে, কেউ রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করবে।
উপাচার্যের বক্তব্যের সূত্র ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামালও নির্বাচনী বছরে আরো সতর্কতার সঙ্গে জঙ্গিবাদ মোকাবেলার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন: নির্বাচনের বছরে কুশীলবরা চায় যেকোন ভাবে পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে। যখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে, তখন তারা অগ্রযাত্রাকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে।