ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর হত্যাচেষ্টা কিংবা হুমায়ুন আজাদ, অভিজিৎ রায়কে হত্যা দ্বিতীয় পর্যায়ের বুদ্ধিজীবী হত্যা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক মানববন্ধনে একথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক রোবায়েত বলেন: জাফর ইকবালকে আক্রমণ মানে বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তবুদ্ধিকে আক্রমণ। কলমের জবাব দেওয়া হয়েছে চাপাতি দিয়ে, বইয়ের জবাব বুলেট দিয়ে। এই মৌলবাদী মূর্খতাকে রুখে দেওয়ার জন্য আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করবো।
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন: ড. জাফর ইকবাল কিশোর থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সবার জন্য লিখেছেন। শিক্ষার্থীদের যেকোন যৌক্তিক আন্দোলনে তিনি কলম ধরেছেন। ২০১৩ সাল থেকে দুর্বৃত্তরা চাপাতি হাতে নিয়েছে। তাদের আদর্শিক পরাজয় থেকেই এর সূত্রপাত।
তিনি আরও বলেন: বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা সব আলেমরা করে না, বরং গুটিকয়েক আলেম করে। তারা ইসলামকে, মাদ্রাসাকে ব্যবহার করছে। সরকারকে এসব স্বার্থান্বেষী আলেমের দিকে নজর রাখতে হবে।
ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইমরান হাবীব রুমন, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন মানববন্ধনে।