হত্যা নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ৫ অভিযোগে ময়মনসিংহের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদসহ ৮ রাজাকারের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে তদন্ত সংস্থা।
একাত্তরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত একজন বাঙালী সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রথমবারের মত মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু করার কথা জানিয়ে সংস্থা বলেছে শিগগিরই প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক আছেন ময়মনসিংহের সাবেক মুসলিম লীগ নেতা ও বর্তমানে জাতীয় পার্টির ত্রিশাল-৭ আসনের সংসদ সদস্য এম এ হান্নান, তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ, জামায়াতের সদস্য চিকিৎসক খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমাদ, জাতীয় পার্টির নেতা মিজানুর রহমান, সাবেক জামায়াত কর্মী হরমুজ আলী।
পলাতক রয়েছেন একই জেলার জামায়াত কর্মী ফখরুজ্জামান, মুসলিম লীগ সমর্থক আবদুস সাত্তার ও খন্দকার গোলাম রাব্বানী।
আট আসামীর বিরুদ্ধে প্রায় ১ বছর তদন্ত শেষে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার কথা জানিয়েছে তদন্ত সংস্থা।
সংস্থার সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে আমরা যে সমস্ত অভিযোগ আনছি তা হলো অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা ও লাশ গুম।
নিয়মিত প্রশ্নোত্তরে তদন্ত সংস্থা তাদের তদন্ত কার্যক্রম সম্পর্কে জানান।
তদন্ত সংস্থার সহ-সমন্বয়ক সানাউল হক বলেন, তৎকালীন পাকিস্তান আর্মির একজন সদস্য যিনি বাঙ্গালি পাকিস্তান আর্মিতে ক্যাপ্টেন ছিলেন। প্রাথমিক তদস্ত করে তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট স্বাক্ষ্য প্রমাণ পেয়েছি। তদন্ত অনেক দূর এগিয়ে গছে, তার বিরুদ্ধে মামলার রুজু হয়েছে। আশা করি এক দেড় মাসের মধ্যেই তার বিরুদ্ধে একটা প্রতিবেদন দিতে পারব।
তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে কৌশলগত কারণে তারা এই মুহূর্তে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার পরিচয় প্রকাশ না করলেও আসামী নজরদারিতে আছে বলেন জানান তারা।