জাপানি নাগরিক হোসি কোনিওর মরদেহ দেশে ফিরিয়ে নিতে রংপুরে অবস্থান করছে জাপান পুলিশের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। তারা সোমবার ঢাকায় পৌঁছে রংপুর এসেছে। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হচ্ছেন ইয়োশিতাকা ইয়ামাদা, শুয়া মাৎসুমুরা, শিগেতাদা ফুরুগোরি ও নাউকি ইয়োশিকাওয়া।
এর আগে জাপানি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ কোর্সিয়া মরিটার উপস্থিতিতে হোসি কোনিও’র লাশের ময়না তদন্ত হয়। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তিন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ময়না তদন্ত করেন।
নিহতের লাশ জাপান দূতাবাসের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ জাকির হোসেন চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছেন।
শনিবার সকালে হোসি কোনিও তার মুন্সিপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে রিক্সাযোগে প্রকল্পের কাজে মাহিগঞ্জের আলুটারী এলাকায় গেলে প্রেস লেখা নম্বরপ্লেটবিহীন মোটরসাইকেলে আসা মুখোশধারী দূর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। বুকে হাতে ও ডান কাঁধে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান।
তাৎক্ষনিকভাবে জাপানি নাগরিক হত্যার ঘটনায় চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় তনিজনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
কোনিও মাস কয়েক আগে রংপুরের মুন্সিপাড়ার জাকারিয়া বালার বাসা ভাড়া নিয়ে রবার্টসনগঞ্জের হুমায়ন কবির হীরার সাথে যৌথভাবে আলুটারী এলাকায় শাহ আলম নামক একজনের জমি লিজ নিয়ে কোয়েল জাতীয় ঘাস চাষসহ বিভিন্ন প্রজাতি গাছের বীজ পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করেন।
র্যাবের গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক লেঃ কর্নেল আবুল কালাম আজাদ জানান, গুলশানে ইতালী নাগরিক হত্যা ও রংপুরে হোসি হত্যার ধরণ এক। দু’টি খুনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য এক বলেও তিনি মনে করেন।