জাপানের একটি হোটেলের নাম ‘হেন না’। বাংলায় ‘হেন না’ শব্দের অর্থ অদ্ভুত। এটাই পৃথিবীর প্রথম হোটেল যেখানে হোটেল কর্মীদের কাজ করে একদল বিচিত্র রোবট।
হোটেলে ঢুকতেই সামনের অভ্যর্থনা ডেস্কে দেখা মিলবে দুই রোবো-ডাইনোসরের। তারাই অতিথিকে স্বাগত জানাচ্ছে। দুই ডাইনোসরের মাথাতেই আছে হোটেল কর্মচারীর টুপি। সামনে থাকা একটি ট্যাবলেট স্ক্রিনে অতিথিরা পাবেন পছন্দ মতো ভাষা নির্বাচন করে তাদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কথোপকথনের ব্যবস্থা। এই ডাইনোসররা ইংরেজি, চাইনিজ এবং কোরিয়ান ভাষা বুঝতে পারে।
ডাইনোসরদের কাছ থেকে রুম বুঝে পাওয়া অতিথিরা নিজের কক্ষে যে লবি দিয়ে যাবেন সেখানে পেয়ে যাবেন দানবাকৃতির অ্যাকুরিয়াম। তবে অ্যাকুরিয়ামে জীবন্ত মাছের বদলে সাঁতরে বেড়াচ্ছে কৃত্রিম আলো ছড়ানো ব্যাটারি চালিত রোবট মাছ।লবি পেরিয়ে রুমে ঢুকে অতিথিরা কল্পবিজ্ঞান সিনেমা স্টারওয়ার্সের ডিম্বাকৃতির সেই বিবি-এইট রোবটটির দেখা পাবেন! টিভি চ্যানেল বদলে দেয়া থেকে শুরু করে পছন্দে গানটি শুনতে চাইলে বিবি-এইট নিজেই তা চালিয়ে দেবে।
বিবি-এইটকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে হোটেলে আসা শিশু অতিথিরা। চিগুসা হোসোই নামের এক অতিথি জানান, তার তিন বছরের ছেলেটি বিবি-এইট রোবটের ভক্ত হয়ে গেছে।এই অদ্ভূত হোটেলে ম্যানেজার ইউকিও নাগাই বলেন, জাপানে কর্মক্ষম মানুষের অপ্রতুলতায় অভ্যর্থনা থেকে শুরু করে হোটেলের সব কাজে রোবটের প্রতি নির্ভর করার সুযোগ কাজে লাগানো হচ্ছে।
আসলে হেন না একটি চেইন হোটেল। জাপানে মোট ৮ টি হেন না হোটেল আছে। দেশটির নাগাসাকিতে ২০১৫ সালে প্রথম হেন না হোটেল যাত্রা শুরু করে। এরপরই হোটেলটিকে বিশ্বের প্রথম রোবট কর্মী সম্পন্ন হোটেল বলে স্বীকৃতি দেয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।