রংপুরে জাপানী নাগরিক হোসি কোনিওকে গুলি করে হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটনে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি হুমায়ুন কবির। ডিআইজি কার্যালয়ে খুনিদের চিহ্নিত করা, যে যানবাহনের মাধ্যমে খুনীরা গিয়েছে তা সনাক্ত করা এবং তদন্ত সুষ্ঠুভাবে করার জন্য সাক্ষপ্রমাণ ও আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
ডিআইজি হুমায়ুন কবির জানান, তদন্তে খুনিদের চিহ্নিত করার জন্য আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। সব দিক বিবেচনায় নিয়ে অপরাধীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েই সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহের কাজ চলছে। তদন্ত চলছে সময় হলেই সব জানানো হবে।
ঘটনাা সুষ্ঠু তদন্তে র্যাব গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক কর্ণেল আবুল কালাম আজাদ, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি হুমায়ুন কবির, সিআইডি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার উর্ধ্বতন কমকর্তারা ঘটনাস্থল, আশপাশের এলাকা, হোসি কোনিও’র খামার, হত্যাকারীরা যে রাস্তা দিয়ে পালিয়েছে সেসব এলাকা ঘুরে দেখেন এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন।
ইতোমধ্যে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জাপানী ফরেনসিক চিকিৎসক কোর্সিয়া মরিটার উপস্থিতিতে হোসি কোনিও’র লাশ ময়না তদন্ত করেছে হাসপাতালের ৩ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দল।
শনিবার সকালে হোসি কোনিও রিক্সাযোগে প্রকল্পের কাজে মাহিগঞ্জের আলুটারী এলাকায় আসলে মোটরসাইকেলযোগে কয়েকজন মুখোশধারী তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। বুকে হাতে ও ডান কাধে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান হোসি কোনিও। এ ঘটনার পর থেকে পুলিশ, র্যাব, সিআইডিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারী অব্যাহত রয়েছে।