রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি ও মাজার খাদেম রহমত আলী হত্যার ঘটনায় ১৪ জেএমবিকে আসামী করে আদালতে চার্জশীট দিয়েছে পুলিশ। আসামীদের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর একাধিক ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগ রয়েছে। পলাতক আসামী ধরতে জোর তৎপরতা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের ১০ মাস পর ৮ জন জেএমবি সদস্যকে আসামী এবং মাজার খাদেম রহমত আলী হত্যাকাণ্ডের ৯ মাস পর ১৪ জেএমবিকে আসামী করে আদালতে পুলিশের চার্জশীট দাখিল করেছে পুলিশ।
আসামীদের মধ্যে সব জেএমবি সদস্যই উত্তরাঞ্চলের নাগরিক। পাবলিক প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে এবং বিদেশীদের কাছে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতেই এসব হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে চার্জশীটে জানিয়েছে পুলিশ।
অন্যদিকে ঈদের দিন শোলাকিয়ার নাশকতার ঘটনায় আটক জেএমবি সদস্য শফিকুল ইসলাম ডন এ অঞ্চলে বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ড ও নাশকতার সাথে সম্পৃক্ত বলে জানিয়েছেন রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি।
পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা চালানোর সাথে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করার কথাও জানিয়েছেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক।
কুনিও হোশি হত্যাকান্ডের ঘটনায় বিএনপি নেতা রাশেদ খান বিপ্লব, কুনিওর ব্যবসায়িক পার্টনার হুমায়ুন কবির হীরা ও গ্রেফতারকৃত মেরিল সুমন, কালা রুবেল, ভরসার বিরুদ্ধে সম্পৃক্ত থাকার তথ্য না মেলায় চার্জশীটে তাদের নাম অর্ন্তভূক্ত হয়নি।
কাউনিয়ার আলুটারী গ্রামে গত ৩ অক্টোবর নিজ কৃষি খামারে গেলে জাপানী নাগরিক কুনিও হোশিকে গুলি করে এবং একই বছরের ১১ নভেম্বর কাউনিয়ার টেপামধুপুর বাজেমস্কুর গ্রামে জবাই করে হত্যা করা হয়।