একসময় মনে হচ্ছিল ম্যাচটা বুঝি জিতেই যাচ্ছে কলকাতা। কিন্তু মারকাটারির ক্রিকেট টি-টুয়েন্টি বলে কথা। এক ওভার বা দুটি ভালো বলেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট। আরেকবার সেটার দেখা মিলল আইপিএলে। রবীন্দ্র জাদেজা এমন ঝড় তুললেন, কেকেআরের মিডিয়াম পেসার প্রাসিধ কৃষ্ণার এক ওভারে তুলে নিলেন ২২ রান। সেটিও আবার ইনিংসের ১৯তম ওভারে। পাল্টে গেল দৃশ্যপট। জিতে গেল চেন্নাই।
আবু ধাবিতে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ১৭১ রান জমায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। নির্ধারিত ওভারের শেষ বলে জয়ে তোলার সময় ৮ উইকেট হারতে হয়েছে চেন্নাই সুপার কিংসকে। রোমাঞ্চকর জয়টি এসেছে ২ উইকেটে।
জয়ের পথে ইনিংসের ১৮তম ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৬ রান ছিল চেন্নাইয়ের। ওই ওভারে কলকাতার বরুণ চক্রবর্তীর দেন কেবল ৫ রান, তুলে নেন ধোনির উইকেট, আর রায়না হন রানআউট।
১৯তম ওভারে এসে পাল্টে যায় ম্যাচের গতিপথ। প্রথম বলে জাদেজা ১ রান নেন, পরের বলে স্যাম কারেন নেন ১ রান। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে পরপর ছয়, আর ওভারের শেষ দু-বলে দুটি চার হাঁকিয়ে ভাগ্য গড়ে দেন জাদেজা।
শেষ ওভারে চেন্নাইয়ের জয়ের জন্য দরকার পড়ে ৪ রান। রোমাঞ্চ তখনও বাকি ছিল। নারিন প্রথম বলে কারেনকে আউট করেন। পরের বলে ডট করেন। তৃতীয় বলে শার্দূল ঠাকুর নেন ৩ রান। ম্যাচ তখন টাই! চতুর্থ বলে ডট করার পর পঞ্চম বলে জাদেজাকে এলবিডব্লিউ করে দেন নারিন। শেষ বলে দীপক চাহার ১ রান নিয়ে তিন পয়েন্ট এনে দেন ধোনিকে।
ওপেনিংয়ে ২ চার ও ৩ ছয়ে ঋতুরাজ গায়কোয়ার্ডের ২৮ বলে ৪০, ফ্যাফ ডু প্লেসিসের ৭ চারে ৩০ বলে ৪৩, মঈন আলির ২ চার এক ছয়ে ২৮ বলে ৩২ ও জাদেজার ২টি করে চার-ছয়ে ৮ বলে ২২ রানে জিতে যায় চেন্নাই। ধোনি ফেরেন ৪ বলে ১ রানে।
তার আগে ভেঙ্কটেশ আয়ারের ১৫ বলে ১৮, রাহুল ত্রিপাঠির ৩৩ বলে ৪৫, নিতিশ রানার ২৭ বলে অপরাজিত ৩৭, আন্দ্রে রাসেলের ১৫ বলে ২০ ও দিনেশ কার্তিকের ১১ বলে ২৬ রানের ক্যামিওতে পৌনে দুইশর কাছে যায় কেকেআর।