জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১ তম শাহাদাতবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছে সমগ্র জাতি। সোমবার সকালে ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে শোকের কর্মসূচি শুরু হয়।
৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেসময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অফ অর্নার প্রদান করে। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। এরপর মোনাজাত করা হয়। পরে দলীয় নেতা ও মন্ত্রীপরিষদের সদস্যদের নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পর স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা শ্রদ্ধা জানানো শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাধারণ মানুষের ঢল নামে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে।
শোক আর শ্রদ্ধার কর্মসূচি থেকে জাতির পিতার আদর্শে বাংলাদেশ গঠনের আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ নেতারা।
এরপর জাতির জনকের শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবসে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বোন শেখ রেহানা, প্রধানমন্ত্রীর কন্যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নেত্রী সায়মা হোসেন পুতুল ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা সোমবার বনানী কবরস্থানে ৭৫’র ১৫ আগষ্টে নিহত পরিবারের সদস্যদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া মোনাজাত শেষে কবরে ফুল ছিটিয়ে দেন তারা। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে বনানী কবরস্থানেও শোকার্ত মানুষের ঢল নামে।
এরপর জাতীয় শোক দিবসে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়। ফাতেহা পাঠ করে মিলাদ এবং দোয়া মাহফিলে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীসহ সর্বস্তরের মানুষ।
দেশের বাইরেও জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রবাসীরা।