শেষ রাউন্ডে ঢাকার সঙ্গে ড্র করলেই হতো খুলনার। ঘরের মাঠে চাপহীন ম্যাচটি জিতেই শিরোপার স্বাদ নিলেন রাজ্জাক-সোহান-এনামুলরা। ঢাকা বিভাগকে ৯ উইকেটে হারিয়ে রেকর্ড সাতবার জাতীয় লিগে চ্যাম্পিয়ন হল তারকায় ঠাসা দলটি।
শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ষষ্ঠ রাউন্ডের চতুর্থ দিনে খুলনাকে ১১৭ রানের লক্ষ্য দেয় ঢাকা। এনামুল হক বিজয়ের ৭৬ বলে ৭৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে ২৫.৪ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় খুলনা। অমিত মজুমদার অপরাজিত থাকেন ৩৩ রানে।
৬ ম্যাচে ৩ জয়ে ৩৯.৮১ পয়েন্ট নিয়ে জাতীয় লিগের ২১তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় খুলনা। রানার্সআপ ঢাকার অর্জন ২৪.৩৯ পয়েন্ট। তাদের জয় মোটে এক ম্যাচে।
স্কোর: ঢাকা বিভাগ-২৭৯ ও ২১৬, খুলনা বিভাগ-৩৭৯ ও ১১৭/১
জাতীয় লিগে খুলনা ও রাজশাহীর মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই চলছে অনেক আগে থেকেই। দুই দলই ছয়বার করে জিতেছিল জাতীয় লিগের শিরোপা। রাজশাহীকে ছাড়িয়ে খুলনা এখন সাতবারের চ্যাম্পিয়ন। গত আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রাজশাহী। এক মৌসুম পর শিরোপা পুনরুদ্ধার করল খুলনা।
তাইবুর রহমানের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ২৭৯ রান তুলেছিল ঢাকা। জবাবে নুরুল হাসান সোহানের অপরাজিত ১৫০ রানের ইনিংসে ৩৭৯ করে থামে খুলনা। এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ২২৭ বলে ১৩টি চার ও ৭ ছয়ে সাজান দেড়শ রানের ইনিংসটি।
ঢাকার অফস্পিনার শুভাগত হোম নেন ৫ উইকেট। ২৬ ওভার বোলিং করে মাত্র ৪৬ রান দেন এ বোলার।
১০০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ রানে ৪ উইকেট হারায় ঢাকা। বিপর্যয় সামাল দেন রকিবুল হাসান। ৯৯ রান করে রান আউট হন এ ব্যাটসম্যান। মোহাম্মদ আরাফাত করেন ৫৩। দুই ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তায় ২১৬ রান করে ঢাকা। খুলনার মিডিয়াম পেসার জিয়াউর রহমান নেন ৫ উইকেট।
১৫০ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। আসরের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক। ৫ ম্যাচে এ বাঁহাতি স্পিনার নিয়েছেন ৩১ উইকেট।
শেষ ম্যাচে খেলেননি খুলনার নিয়মিত অধিনায়ক রাজ্জাক। তার জায়গায় নেতৃত্ব দিয়েছেন সোহান।