জাতীয় প্রেসক্লাবে ছাত্রদলের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ঘিরে ওই এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।
রোববার সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকজনকে আহত হতে দেখা যায়।
এই সংঘর্ষে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ছাত্রদলের কয়েকজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তেও দেখা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও ব্যাপক টিয়ারশেল ছুঁড়েছে।
জানা যায়, ছাত্রদলের আজকের কর্মসূচিকে সামনে রেখে সকাল থেকে প্রেসক্লাব এলাকায় ব্যাপক পুলিশের উপস্থিতি ছিল। প্রায় ২৫০ জন পুলিশ সদস্য অবস্থান নিয়েছিলেন প্রেসক্লাবের সামনে। অন্যদিকে সকাল ১০টার দিক থেকে প্রেসক্লাবের ভেতরে জমায়েত হতে শুরু করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
ছাত্রদলের এই কর্মসূচির পূর্ব অনুমতি ছিল না বলে অভিযোগ পুলিশের। ছাত্রদলের নেতাদের সঙ্গে পুলিশ কথা বলতে প্রেসক্লাবের ভেতরে গেলেও সেখান থেকে কোনো সমাধান আসেনি। তখনও প্রেসক্লাবের প্রধান ফটক বন্ধ ছিল।
এরপর বেলা ১১টার কিছু পর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে সড়কে অবস্থান নেয়। তখন পুলিশ তাদের সড়ক থেকে উঠে যাওযার কথা বললেও তারা যেতে রাজি হননি। এরপরই পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করলে মূলত সংঘর্ষের সূত্রপাত।
সংঘর্ষের বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, কোনো অনুমিত না নিয়ে সমাবেশ করতে চেয়েছিল তারা। তাই তাদের সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
অপরদিকে ছাত্রদলের দাবি, প্রেসক্লাবের সামনে এ ধরনের সমাবেশ করতে কোনো অনুমতি লাগে না।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. সাজ্জাদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রদলের এ কর্মসূচির বিষয়ে কোনো অনুমতি নেওয়া ছিল না। সেজন্য আমরা তাদের চলে যেতে বলি। কিন্তু তারা অনুমতি না নিয়ে সমাবেশের চেষ্টা করে এবং প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে ইটের টুকরা ছোড়ে। এরপরই মূলত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ছাত্রদলের কয়েকজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।